সংখ্যালঘু ভোট কাটাকাটিতে বিজেপি ও বিরোধীদের লাভ, তৃণমূলের সমুহ বিপদ
নীতীশ কুমারের জেডিইউ থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর বিহারে ঢাকঢোল পিটিয়ে নেমেছিলেন ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। কিন্তু কোনও এক অজানা কারণে তিনি হাত গুটিয়ে নেন। ‘অঙ্গরাজ্য’ বিহারের ফল ঘোষণার পর দেখা যায়, সেখানে ঝড় তুলে দিয়েছেন মিম। মিম ভোট কেটে বিজেপি-জেডিইউকে সুবিধা করে দিয়েছেন। তাতেই ধরাশায়ী হয়েছেন মহাজোট।
২০২১-এ বাংলায় ফেল করবে না তো পিকের কৌশল?
এখন প্রশ্ন উঠেছে প্রশান্ত কিশোর যে বাংলায় তৃণমূলের দায়িত্ব নিয়েছেন, তিনি কি এতদিনের গ্রাম-শহরজুড়ে সমীক্ষা-গবেষণার সুফল দিতে পারবেন তৃণমূলকে? এতদিন গবেষণার পর মিম যদি তৃণমূলের ভোট কেটে বিজেপিকে সুবিধা করে দেন, তাহলে পিকের সর্বচেষ্টা বৃথা হয়ে যাবে। এখন দেখার ২০২১-এ বাংলায় ফেল করবে না তো পিকের কৌশল?
সংখ্যালঘু ভোট কেটে তৃণমূলের কাঁটা হবেন ওয়েইসি
পিকের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল বিজেপি, আর কিছু ক্ষেত্রে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। কিন্তু আরও এক প্রতিদ্বন্দ্বী এসে উপস্থিত বাংলার ভোটে। তিনি হলেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। মিমের কর্ণধার সংখ্যালঘু ভোট কেটে তৃণমূলের কাঁটা হয়ে দেখা দিতে চলেছেন আসন্ন বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে। বিহারের পর বাংলাতেও তিনি ঘাঁটি গাড়বেন বলে হুমকি দিয়ে রেখেছিলেন আগে থেকেই।
মিম ছাড়াও ত্বহা সিদ্দিকির ভাইপোও কাঁটা মমতার
ত্বহা সিদ্দিকির ভাইপো ১৪৪টি আসনে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন। আর আসাদউদ্দিন ওয়েইসির মিম দাঁড়াবে অন্তত ১০০ আসনে। চার রাজ্য তাঁদের সফট টার্গেট। তাহলে সেক্ষেত্রে কী হবে? সংখ্যালঘু ভোট কাটলে সহজেই জিতে যাবে বিজেপি। তৃণমূলের ভোট কেটে ফাঁকা করবে হায়দরাবাদের ভোট কাটার ওয়েইসি। আর ড্যাংডেঙিয়ে জিতে যাবেন মোদী।
যে চার জেলায় ঘুম উড়তে পারে তৃণমূলের
বিহারের ভোটের পর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, মিম-ঝড় বাংলায় তৃণমূলকে উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে। মিম আপাতত চার জেলায় পাড়ি জমাতে চলেছে। সেই চারটি জেলা হল- মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুর। এখন এই চারটি জেলায় মিম ভোট কাটলে খানিক সুবিধা তো পাবেই বিজেপি। কেননা বর্তমানে উত্তরবঙ্গের ওই তিন জেলায় বিজেপি শক্তশালী। আর মুর্শিদাবাদে অবশ্য বিজেপি ও তৃণমূলের শক্তি কম কংগ্রেসের তুলনায়।