+91 9330828434 +91 9804424251 banglalivenews@gmail.com

বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টা বনধে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষিপ্ত অশান্তি।

নিজস্ব সংবাদদাতা - August 28, 2024 11:14 am - রাজ্য

বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টা বনধে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষিপ্ত অশান্তি।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশ গিয়ে দু’পক্ষকে সরিয়ে দেয়। জেলা সভাপতির নেতৃত্বে এই মিছিলটি চলে যায় বার্নপুর রেল স্টেশনের ভিতর। সেখানে তাঁরা রেললাইনে বসে পড়েন। এই সময় আসানসোল আদ্রা রুটে স্কুল অফিসে যাওয়ার জন্য ইএমইউ প্যাসেঞ্জার ট্রেন যাতায়াত করেন। বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টা বনধে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষিপ্ত অশান্তি। অশান্তি আসানসোলের বার্নপুরে। জানা গিয়েছে, বিজেপি জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে চলছিল বার্নপুর ত্রিবেণী মোড়ে পথ অবরোধ। সেখানে হঠাৎ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা চলে আসেন। দুপক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশ গিয়ে দু’পক্ষকে সরিয়ে দেয়। জেলা সভাপতির নেতৃত্বে এই মিছিলটি চলে যায় বার্নপুর রেল স্টেশনের ভিতর। সেখানে তাঁরা রেললাইনে বসে পড়েন। এই সময় আসানসোল আদ্রা রুটে স্কুল অফিসে যাওয়ার জন্য ইএমইউ প্যাসেঞ্জার ট্রেন যাতায়াত করেন। রেল লাইনে আন্দোলনকারীরা বসে পড়ায় লাল সিগন্যাল হয়ে যায়। স্টেশনে ঢোকার আগেই আটকে পড়ে ট্রেন। বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকে। আসানসোল আদ্রা ডিভিশন ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বিঘ্ন হয়। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যে বিজেপি কর্মীরা রেললাইন থেকে উঠে আবার রাস্তায় নেমে পড়েন। রাস্তায় নেমে ফের শুরু হয় আন্দোলন।

 

 

সকাল থেকেই উত্তেজনা বিজেপির বনধ ঘিরে। বারাসতে গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ। অন্যদিকে, ট্রেন অবরোধও করে রেখেছে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। বারাসত স্টেশনে মুখোমুখি বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস। শাসক দলের দাবি কোনওভাবেই ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা যাবে না। এদিকে বিজেপি কর্মীরা লোকাল ট্রেনের ইঞ্জিন বেয়ে উঠে পড়েন, যাতে ট্রেন চলতে না পারে। সবমিলিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি। আরজি কর কাণ্ড ও মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযানে পুলিশি লাঠিচার্জের প্রতিবাদেই আজ রাজ্যজুড়ে ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। সকালেই বনধ পালন ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় বারাসতের চাপাডালি মোড়ে। দোকানিদের জোর করে দোকান বন্ধ করিয়ে দেওয়া হয়। গাড়িও আটক করে ভাঙচুর চালায় বিজেপি কর্মীরা। অভিযোগ, একাধিক বাস-ট্রাকের চাবি কেড়ে নিয়েছে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। এর জেরে মাঝ রাস্তাতেই আটকে পড়েছে বাস-ট্রাক। বিপর্যস্ত যান চলাচল। চরম ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে, বারাসত রেল স্টেশনেও ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। বারাসত রেল স্টেশনে ট্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। বিজেপির রেল অবরোধের মাঝেই কাউন্সিলর দেবব্রত দাসের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি মিছিলও এসে পৌঁছায়। তাদের দাবি, ট্রেন সচল রাখতে হবে। বিজেপিও পিছু হটতে নারাজ। তারা ট্রেনের সামনে চড়ে বসে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নেমেছে পুলিশ ও জিআরপি।

 

শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশন অবরোধ করতে আসে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। তৎক্ষণাৎ কর্মী সমর্থকদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

 

রায়গঞ্জে বনধ ঘিরে ধুন্ধুমার। পুলিশকে শাড়ি পরানো হবে, এই দাবি তুলে পথে শাড়ি নিয়েই বিক্ষোভ বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বাড়ি থেকে লোকজন আনা হচ্ছে, জোর করে দোকান খোলানো হচ্ছে।

 

শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় বেশ কয়েক জায়গায় অবরোধ হয়। বনগাঁ বারাসত সেকশনের বনগাঁঁয় অশান্তি হচ্ছে। কৃষ্ণনগর-লালগোলা সেকশনের জিয়াগঞ্জে, রানাঘাট-আড়ংঘাটা সেকশনের পাঁচবেড়িয়ায়, ডায়মন্ডহারবারের সংগ্রামপুর ডাউন লাইনে কলাপাতা ফেলে অবরোধ করা হয়েছে, লক্ষ্মীকান্তপুর গোচরণ আপ লাইনে কলাপাতা ফেলে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। কৃষ্ণনগরের কালীনারায়ণপুর, কল্যাণী সীমান্ততে কলাপাতা ফেলে অবরোধ করা হয়েছে। শিয়ালদা মেইন লাইনের  রানাঘাট নৈহাটি সেকশনে মদনপুর, শান্তিপুর, বারাকপুর, বেলঘড়িয়া, সোদপুরে কলাপাতা ফেলে অবরোধ করা হয়েছে। 

শিয়ালদহ বনগাঁ শাখার দত্তপুকুর, বীরনগর, মছলন্দপুর, ভ্যাবলা,  ঠাকুরনগর। ক্যানিং শাখার চম্পাহাটি সোনারপুরে অবরোধ চলছে।

হাওড়া ডিভিশনের হুগলি, কোন্ননগর, সিঙ্গুর, রামপুরহাট, মগরা, গুড়াপ, বেলুড়, উত্তরপাড়া, চন্দননগল, বালি স্টেশনে রেল অবরোধ চলছে। 

সাত সকালে হুগলি স্টেশনে রেল অবরোধ বিজেপি কর্মী- সমর্থকদের। ব্যান্ডেল হাওড়া লোকাল অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। রেল লাইনে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখান শতাধিক বিজেপি কর্মী।

 

 

 

 


আরও পড়ুন:

Follow Bangla Live on Facebook

Follow Bangla Live on YouTube