বিজেপি প্রার্থীদের দিয়ে শৌচালয় পরিষ্কার করিয়ে নেবেন – অভিষেক। বিতর্ক তুঙ্গে
দেখতে দেখতে শেষ লগ্নে এসে পৌঁছেছে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে পাঁচ দফার ভোটগ্রহণ। আগামী শনিবার ষষ্ট দফার ভোট রয়েছে বাংলায়। তার আগে প্রচারে বেরিয়ে ভোটারদের বিশেষ ‘পরামর্শ’ দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ।
আগামী শনিবার রাজ্যের বেশ কয়েকটি হাইভোল্টেজ আসনে নির্বাচন (Lok Sabha Election) রয়েছে। তমলুক, ঘাটাল, মেদিনীপুরের পাশাপাশি বাঁকুড়াতেও ভোট রয়েছে সেদিন। মঙ্গলবার বাঁকুড়ার (Bankura) তৃণমূল (TMC) প্রার্থীর সমর্থনে শোলতোড়ায় একটি সভা করেন তৃণমূল সেনাপতি। সেই সভায় দাঁড়িয়েই তিনি বলেন, বিজেপি (BJP) প্রার্থীদের দিয়ে ঘরের কাজ করিয়ে নিন। তবে ওনাদের ভোট দেবেন না।
ভোট প্রচারে বেরিয়ে নিরাপত্তারক্ষীর জুতো পরিষ্কার করতে দেখা গিয়েছিল বাঁকুড়ার বিদায়ী সাংসদ সুভাষ সরকারকে। ভোটারের পিঠে সাবান মাখিয়ে স্নানও করিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। গতকাল এই বিষয়টিকেই ‘ফোকাস’ করেন অভিষেক। তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড বলেন, বিগত ৫ বছরে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে ৫ সপ্তাহ সময়ও দেননি সুভাষ।
অভিষেকের কথায়, ‘গত ৫ বছরে সুভাষ সরকার এখানে ৫ সপ্তাহ সময় দেননি। এখন ভোট এসে গিয়েছে বলে জুতো পরিষ্কার করে দিচ্ছে, সাবান মাখিয়ে দিচ্ছে’। এরপর ভোটারদের অভিষেকের পরামর্শ, ‘আমি মায়েদের বলতে চাই, শৌচালয় পরিষ্কার করিয়ে নেবেন। যদি প্রয়োজন পড়ে ডেকে বাসনটাও মাজিয়ে নেবেন’।
বাঁকুড়া থেকে জিতে সংসদে গেলেও সুভাষ সরকার নিজের কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সময় দেননি বলে গতকাল সুর চড়িয়েছিলেন অভিষেক। শুধু তাই নয়, নবজোয়ারের সময় তাঁর কাছে নাকি অনেকে বলেছিলেন, ভুল করে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার কথা। সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে গতকাল এমনটাই দাবি করেন তৃণমূল সেনাপতি।
অভিষেক বলেন, ‘২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে এক বুক আশা, ভরসায় নরেন্দ্র মোদীজিকে ভরসা করে এখান থেকে সুভাষ সরকারকে জিতিয়ে সংসদে পাঠিয়েছিলেন। তবে নবজোয়ারের সময় আমায় অনেকে বলেছে, ভুল করে বিজেপিকে ভোট দিয়েছি’।