জাতীয় গণ্ডি থেকে বেরিয়ে বৃহত্তর উদ্দেশের কথা বললেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন
জি-৭ বৈঠকে জাতীয় গণ্ডি থেকে বেরিয়ে বৃহত্তর উদ্দেশের কথা বললেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন । ২০২২ সালের মধ্যে সারা বিশ্বকে করোনা প্রতিষেধক দেওয়ার বার্তা দেন তিনি। ২০২২ এর শেষ সপ্তাহে ফের ব্রিটেনে বৈঠক রয়েছে জি-৭ দেশের। সেখানে যেন সারা বিশ্ব ভ্যাকসিনেটেড হয়ে আসে, সেই লক্ষ্যমাত্রাই স্থির করে দিলেন বরিস। জি-৭ বৈঠকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি সকল জি-৭ নেতাদের আহ্বান জানাচ্ছি এই মহামারি শেষ করার জন্য। আমরা এই শপথ নেব যাতে মহামারি আর কখনও বিধ্বংসী না হয়।” ভ্যাকসিনের সমবণ্টন নিয়ে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ভ্যাকসিন তুলনামূলক ধনী দেশে বেশি যাচ্ছে। ফলে পিছিয়ে পড়ছে গরিব দেশগুলি। এর ফলে মহামারি আরও মারাত্মক আকার নেবে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। কারণ গরিব দেশগুলিতে করোনা ছড়াবে, সেখান থেকে মিউট্যান্ট ভাইরাস অন্য দেশে আঘাত হানবে। তাই সমূলে করোনা বিনাশ করতে হলে ভ্যাকসিনের সমবণ্টন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উল্লেখ্য, ব্রিটেনের মোট জনসংখ্যা ৬৭ মিলিয়ন, অর্থাৎ ৬ কোটি ৭০ লক্ষ। আর ব্রিটেন মোট ভ্যাকসিনের বরাত দিয়েছে ৫০০ মিলিয়ন অর্থাৎ ৫০ কোটি। বরিস প্রশাসন জানিয়েছে, যে ভ্যাকসিন বেঁচে যাবে তা অন্য দেশে পাঠিয়ে দেবে তারা। জুন মাসের ৩ তারিখের হিসেব অনুযায়ী, ইজরায়েল ৬৩ শতাংশ মানুষকে করোনা টিকা দিয়ে ফেলেছে। কানাডায় টিকা পেয়ে গিয়েছেন ৫৯ শতাংশ মানুষ। ব্রিটেনে টিকা পেয়েছেন ৫৮.৮৫ শতাংশ মানুষ। আমেরিকাতেও ৫০ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিন পেয়েছেন। ভারত সেই তালিকায় দ্বাদশ স্থানে। এইরকম একাধিক উন্নয়নশীল দেশের পরিস্থিতি এমনই। সেখানে ২০২২ সালের মধ্যে সারা বিশ্বকে টিকা দেওয়া কতটা সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এ বারের জি-৭ সামিটে অতিথি হিসেবে ডাক পেয়েছে ভারত। কানাডা, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, জাপান, ব্রিটেন ও আমেরিকার পাশাপাশি ভারতের হয়ে সেখানে বক্তব্য পেশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। বিশ্ব জুড়ে চলতে থাকা ভ্যাকসিন পাসপোর্ট নিয়ে বিরোধিতার সুর চড়ান তিনি। হর্ষ বর্ধন জানান, ভ্যাকসিন পাসপোর্ট একটি বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত। কারণ, একাধিক উন্নয়নশীল দেশে টিকাকরণের হার অত্যন্ত কম।