চক্রবেরিয়া সার্বজনীন দুর্গোৎসব
চক্র বেরিয়া সার্বজনীন দুর্গোৎসব এর এ বছর ছিল ৭৫ তম বর্ষপূর্তির পুজোর আয়োজন সমস্ত কিছু পরিকল্পনা ও ভাবনা আনন্দোৎসবকে কি ভাবে পালন করা হবে তার রূপরেখা তৈরি করা চলছিল ,কিছুটা কল্পনা ও খসড়া চিত্রের মাধ্যমে।
কিন্তু চৈত্রের এক বিকেলে কালবৈশাখী র ঝড়ের মত সমস্ত স্বপ্ন ভেঙ্গে ফেলার সংকেত দিয়ে কালো মেঘের গর্জন শুরু হয়ে গেল, সেই গর্জন আর প্রবল মহামারী র প্রকোপে ভেসে গেল সব আয়োজন। মনে পড়ে গেল রবীন্দ্র নাথের একটা গান।১৯২৪ সালে দোল পূর্ণিমার সন্ধ্যায় শান্তিনিকেতনে আম্রকুঞ্জে বসন্ত উৎসবে র সব আয়োজন প্রচন্ড ঝড়ে ধুলিস্যাৎ করে দিয়েছিল।সেদিন কবি সেই ধ্বংসের মধ্যেই সৃষ্টির উৎস খুঁজে নিয়ে নিজ কন্ঠে তাৎ ক্ষণিক গান রচনা ও পরিবেশনা করেছিলেন পুস্তকাগার এর সভা কক্ষে
“রুদ্রবেশ এ কেমন খেলা কালো মেঘে ভ্রুকুটি।
সন্ধ্যাকাশের বক্ষ যে ওই বজ্র বানে যায় টুটি।।”
এই অনুভূতি আমারও মনে জাগ্রত হতে শুরু হয়ে ছিল,যার পূর্ণতা পেলো বাংলা যেদিন তুফান ঝড়ে বিদ্ধস্ত হলো। একটাই চেতনা এলো যে জীবন সৃষ্টি ও ধ্বংসের মধ্যে আবর্তিত হয়। এটাই হবে আমার সৃষ্টি।শিবের প্রলয় তাণ্ডব কে কল্পনা করেই তো সেই সময় শিল্পী গড়েছিলেন বিখ্যাত নটরাজ মূর্তি। নৃত্যের মাধ্যমে ধ্বংসের ছন্দ কে ধরা।জীবন যখন ভাঙ্গা গড়া নিয়ে অতিবাহিত হয়,তাই ভাঙ্গা গড়া র মধ্যেই গড়ে উঠুক এবার ৭৫ বছরের পুজো।