চল্লিশ বছর ধরে ‘বিচারাধীন’, অবশেষে মুক্তি বৃদ্ধের
জেলের চার দেওয়ালের মধ্যেই কেটে গিয়েছে চল্লিশটা বছর। জেলই তাঁর দ্বিতীয় পৃথিবী। অন্য বন্দিদের তবু আদালতে হাজিরা দিতে বেরোনোর সুযোগ হয়। কাছের মানুষদের চোখের দেখা বা স্পর্শ করা যায়। তাঁর অবশ্য হাজিরার ডাক আসত না। কাছের মানুষেরা জানতেনও না যে, তিনি বেঁচে আছেন!
শনিবার দুপুরে দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের গেটের বাইরে তখন উপচে পড়া ভিড়। চল্লিশ বছর পরে একজন বিদেশি বিচারাধীন বন্দি জামিনে মুক্তি পেলেন। ভিড় জমেছিল তাঁকে একবার দেখতে। কারণ, এতটা দীর্ঘ সময়ের পরে কোনও বিচারাধীন বন্দির জামিন নজিরবিহীন ঘটনা বলেই উল্লেখ করেছে হাইকোর্ট। নেপালের ইলম জেলার মেচি গ্রামের বাসিন্দা দীপক জোশী ১৯৮০ সালে দার্জিলিঙে এক মহিলাকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হন। তখন দীপক সদ্য যুবক। আর এ দিন যখন জেলের গেট পেরিয়ে খোলা আকাশের নীচে পিচ রাস্তায় তিনি পা রাখলেন, কপালে আর মুখে বলিরেখা স্পষ্ট। নতুন পাজামা-পাঞ্জাবি। গলায় রজনীগন্ধার মালা। তাঁকে ঘিরে তখন পুলিশ, আইনজীবী, সাধারণ মানুষের উচ্ছ্বাস। তবে জেলের হসপিটাল ওয়ার্ড ছেড়ে আসা দীর্ঘদেহী মানুষটি অবশ্য ভাবলেশহীন, নিরুত্তাপ।