ছট পুজোয় দেখা গেল সেই একই ছবি। প্রবল ভিড়ে সামাজিক দূরত্ব বিধি উধাও।
উৎসবের সময় সচেতন থাকার কথা বারবার বলে এসেছেন বিশেষজ্ঞরা। দুর্গা পুজোয় সেই সচেতনতার অভাব চোখে পড়েছিল। পুজোর পর বেড়েছে করোনার গ্রাফ। তবুও ফিরল না সতর্কতা। ছট পুজোয় দেখা গেল সেই একই ছবি। মাস্ক নেই প্রায় কারও মুখে। প্রবল ভিড়ে সামাজিক দূরত্ব বিধি উধাও। পুলিশ শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করলেও কোভিড বিধির ক্ষেত্রে তেমন কোনও তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।
কলকাতার বাবুঘাটে দেখা সকাল থেকেই চোখে পড়ল বহু মানুষের ভিড়। ভোর থেকে হাজার হাজার মানুষ পৌঁছে গিয়েছেন ঘাটে। পাশাপাশি, করানো বিধি উপেক্ষা করে জমজমাট রূপনারায়ণের পাড়ের ছট পুজো। সেখানেও মোতায়েন করা ছিল পুলিশ, কিন্তু চোখে পড়েনি করোনা নিয়ে সতর্ক করার কোনও প্রচার।
ছট পূজা উপলক্ষে সেই একই ছবি হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর ঘাটে। ভোর থেকেই হাওড়া রামকৃষ্ণপুর ঘাট, তেলকল ঘাট সহ বিভিন্ন ঘাটে ছট পূজার উপলক্ষে হাজার হাজার মানুষের সমাগম। দুর্গা পূজার পর ছট পুজোয় মানুষের সমাগমে ফের বাড়ছে আশঙ্কা। আবার বাড়বে না তো করোনা সংক্রমণ!
জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে ছট উৎসবে উধাও কোভিড বিধি। কুমলাই, বামনী ও ডুডুয়া নদীর তীরে ৪ টি ঘাট পূজা উপলক্ষে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। এ ছাড়াও বানারহাট ব্লকের ডায়না এবং গয়েরকাটা এলাকার কালুয়া নদীর ঘাট সাজিয়ে তোলা হয়েছে। সেখানেই গিয়ে সূর্যপ্রণাম সারছেন সকলে। পুলিশকর্মীরা বিভিন্ন ঘাটে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। কোভিড বিধি মেনে চলার কথা বলা হলেও কোনও ঘাটে কোভিড বিধি মানা হচ্ছে না।
কলকাতা পুর এলাকায় মোট ১৩৮ টি ঘাটে ছট পুজোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এবং কলকাতা পুরসভা যৌথ উদ্যোগে এই ঘাট তৈরি করেছে। এর মধ্যে স্থায়ী এবং অস্থায়ী মিলিয়ে ৩৯টি ঘাট তৈরি করেছে কেএমডিএ। বাকি ৯৯ অস্থায়ী এবং স্থায়ী ঘাট তৈরি করেছে কলকাতা পুরসভা। ৮ টি কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করেছে কলকাতা পুরসভা। সমস্ত ঘাট ব্যারিকেড করবে পূর্ত দফতর। কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যাবস্থা দেখভাল করছে ভারতীয় নৌ-বাহিনী। কলকাতা পুলিশের তরফে ঘাট গুলিতে নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।