বুধবার বিকেলে রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী ঘণ্টাখানেক রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করেন
বুধবার বিকেলে আচমকা রাজভবনে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘণ্টাখানেক রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। রাজভবন থেকে বেরিয়ে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হননি মুখ্যমন্ত্রী। তবে টুইট করে সাক্ষাতের কথা জানিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল এদিন পরপর দুটি টুইট করেন। প্রথম টুইট মুছে দেওয়া হলেও, রাখা হয়েছে দ্বিতীয় টুইটটি।
প্রথম টুইটে রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, ‘নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাতে এদিন রাজভবনে এসে আমার এবং আমার স্ত্রী সুদেশ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’ সেই টুইটে ছিল দুটি ছবি। তাতে দেখা গিয়েছে সস্ত্রীক রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীকে। সেটি মুছে দিয়ে ফের টুইট করেন রাজ্যপাল। তাতে তিনি নতুন বছরের শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেননি। শুধু লিখেছেন, ‘এদিন রাজভবনে এলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি এবং আমার স্ত্রী সুদেশ ধনখড় শুভেচ্ছা জানিয়েছি।’
এদিকে, এখনও পর্যন্ত এই সাক্ষাৎকার নিয়ে বিশদে কিছু জানানো হয়নি নবান্ন ও রাজভবনের তরফে। যদিও দুই সূত্রেই দাবি, এদিনের সাক্ষাৎ ছিল মূলত সৌজন্যতার খাতিরেই। পাশাপাশি, সূত্রের খবর, আইনশৃঙ্খলা–সহ একাধিক বিষয় নিয়ে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে আলোচনা হয়। সামগ্রিক আলোচনা প্রেস বিবৃতি হিসেবে জারি করা হতে পারে রাজভবনের তরফে। উল্লেখ্য, এর আগে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানাতে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে রাজভবনে পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এর আগে একাধিকবার টুইট–যুদ্ধ, পত্রাঘাতে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারের সঙ্ঘাত প্রকাশ্যে এসেছে। রাজ্য প্রশাসন ও পুলিশের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যপাল। আর এ সবের মধ্যে হঠাৎ রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎ অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেছে ওয়াকিবহল মহল। উল্লেখ্য, সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের প্রত্যাহার দাবি করে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যপালকে অপসারণের দাবি জানিয়েছে রাজ্যের শাসকদল।