মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চে জায়গা পাওয়া নিয়ে তুমুল অশান্তি, প্রকাশ্যে এল অনৈক্যের ছবি
শিয়রে বিধানসভা নির্বাচন। আর এই নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে বিজেপি। সেখানে দলের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরও পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে না। এমনই নজির এবার প্রকাশ্যে চলে এল। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর দলীয় জনসভায় মঞ্চে জায়গা পাওয়া নিয়ে তুমুল অশান্তির সৃষ্টি হল। সভা শেষে মঞ্চের পাশে বচসা ব্যাপক আকার নিল। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান তথা ইটাহারের বিধায়ক অমল আচার্যের গোষ্ঠীর সঙ্গে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল এবং গোয়ালপোখরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তথা রাজ্যের শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। এই ঘটনায় ঐক্যের চিত্র তো ধরা পড়লই না বরং উলটে অনৈক্যের ছবি প্রকট হল বলে মনে করা হচ্ছে।
রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামে উত্তর–দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–কর্মীদের নিয়ে জনসভা করা হয়। সেখানে তিনটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল। মূল মঞ্চে তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে ছিলেন উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি গৌতম দাস এবং প্রথমসারির ২০ জন নেতানেত্রী। আর পাশের দুটি মঞ্চে দুই দিনাজপুরের জেলা পরিষদের সদস্য–সহ বিভিন্ন শাখা সংগঠনের নেতানেত্রীকে জায়গা দেওয়া হয়েছিল। সেই সভা শেষ হওয়া মাত্র অমলের সঙ্গে কানাইয়া ও রব্বানির তুমুল বচসা বাঁধে। মঞ্চে কেন ছোটমাপের নেতাদের জায়গা দেওয়া হল তা নিয়েই একে অপরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন। পরিস্থিতি রীতিমতো তখন ঘোরালো হয়ে উঠেছিল বলে সূত্রের খবর।
কানাইয়া সরাসরি অমলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দেয়। দিদির সভা সফল করার জন্য তাঁর কী প্রচেষ্টা ছিল? বলে প্রশ্ন তুলে দেন। তখন রব্বানিও অমলকে কাঠিবাজ বলে আক্রমণ করেন। তিনি নাকি দলের অন্দরে অনেক কাঠি করেছেন বলে অভিযোগ করেন। পরিস্থিতি একেবারে কলতলার ঝগড়ায় নেমে আসে। অমলও পাল্টা চিৎকার করে এই অভিযোগ নস্যাৎ করার চেষ্টা করেন। তাতে পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের এক জেলার নেতার কথায়, এভাবে চলতে থাকলে বাকি কর্মীদের কাছে খারাপ বার্তা পৌঁছবে। যদিও অমলের দাবি, জেলার নেতারা দল পরিচালনার নামে স্বেচ্ছাচারিতা করছেন।