করোনা আক্রান্তের দেহ সৎকারকে ঘিরে চরম ঝামেলা হাওড়ায়
ফের করোনা আক্রান্তের দেহ সৎকারকে ঘিরে চরম ঝামেলায় পরিবারের লোকজন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দেহ পড়ে থাকল বাড়িতেই। একের পর হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করেও কেউ এগিয়ে আসেননি বলে পরিবারের অভিযোগ। ব্যাঁটরা এলাকার কালিপ্রসাদ চক্রবর্তী লেনের ঘটনা। গত কয়েকদিন ধরে জ্বর. সর্দি–কাশিতে ভুগছিলেন হরিসাধন ভট্টাচার্য নামে ৫৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। গত ২০শে এপ্রিল তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হয়। ২১শে এপ্রিল রিপোর্ট আসে পজিটিভ। এদিকে শারীরিক অবস্থারও অবনতি হতে থাকে ক্রমশ। শনিবার তাঁর শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থাকে ক্রমশ। এরপর তাকে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। এরপর রাতেই তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়। সকালে বাড়িতেই অবস্থার অবনতি হয়। এরপর রবিবার সকাল পৌনে আটটা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর।
এরপরই দেহ সৎকারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ফোন করা শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু কোনও হেল্পলাইন থেকেই প্রয়োজনীয় সহায়তা মেলেনি বলে অভিযোগ। একটি সংস্থা অপর সংস্থার ফোন নম্বর দিতে শুরু করে। এমনকী পরিবারের সদস্যের নম্বর রিজেক্ট লিস্টে ফেলে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার। তবে ব্যাঁটরা থানার পুলিশ সহায়তা করার চেষ্টা করেছে বলে পরিবারের ব্যক্তব্য। প্রায় ৫ ঘণ্টা বাড়িতেই পড়েছিল দেহ।
মৃতের ছেলে বলেন, ‘কোনও হেল্পলাইনে সহায়তা মেলেনি। শেষে জানলাম হাওড়ার জন্য নাকি কোনও সহায়তার ব্যবস্থাই নেই। আমরা বোধ হয় মানুষ নই।প্রশাসন, স্বাস্থ্য দফতর কারোর থেকে কোনও সহায়তা পাইনি। শেষ পর্যন্ত পুলিশ সহায়তা করে।’