+91 9330828434 +91 9804424251 banglalivenews@gmail.com

কোভ্যাক্সিন বনাম কোভিশিল্ড – কোনটা বেশি ভালো?

পঙ্কজ কুমার মন্ডল - May 13, 2021 8:35 am - স্বাস্থ্য

কোভ্যাক্সিন বনাম কোভিশিল্ড – কোনটা বেশি ভালো?

আসুন জেনে নিন কোভ্যাক্সিন আর কোভিশিল্ডের মধ্যে কি পার্থক্য আর কোনটা আপনার নেওয়া উচিত।

 

কোভ্যাক্সিন কোভিশিল্ড
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আই.সি.এম.আর) এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি (এন.আই.ভি)-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক তৈরি করেছে কোভ্যাক্সিন। ব্রিটিশ-সুইডিশ সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি কোভিশিল্ড প্রতিষেধকটি তৈরি করেছে। তাদের প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে ভারতে ওই প্রতিষেধকটি উৎপাদনের দায়িত্বে রয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট।
কোভ্যাক্সিন তৈরি করা হয়েছে নিষ্ক্রিয় ভাইরাস দিয়ে। এই নিষ্ক্রিয় ভাইরাস-এর টেকনোলজি অনেক পরীক্ষিত এবং ব্যবহৃত। এই টেকনোলজি রেবিস এবং পোলিও-এর জন্য ভ্যাকসিন তৈরি করার সময় ব্যবহার করা হয়। ভাইরাল ভেক্টর প্লাটফর্ম দিয়ে তৈরি করা হয়েছে কোভিশিল্ড। এই টেকনোলজি ইবোলা ভাইরাস-এর জন্য ভ্যাকসিন তৈরি করার সময় ব্যবহার করা হয়েছিল।
কোভ্যাক্সিন-এর দৃতীয় ডোজ প্রথম ডোজ নেবার ৪-৬ সপ্তাহের মধ্যে নিতে হয়। কোভিশিল্ড-এর দৃতীয় ডোজ প্রথম ডোজ নেবার ৬-৮ সপ্তাহের মধ্যে নিতে হয়।
অন্তর্বর্তীকালীন ফলাফল এবং ক্লিনিকাল অধ্যয়ন অনুসারে কোভ্যাক্সিন-এর কার্যকারিতা হার ৮১ শতাংশ। ক্লিনিকাল প্রমাণ রয়েছে যে কোভাক্সিন কোরোনার তীব্রতা এবং মৃত্যুর হারকে সম্পূর্ণ ১০০ শতাংশ দ্বারা হ্রাস করতে পারে। কোভিশিল্ড-এর ট্রায়াল গত বছরে নভেম্বরে সমাপ্ত হয়েছে এবং এর কার্যকারিতা হার ৭০ শতাংশ, যেটি ৯০ শতাংশ তে যেতে পারে যদি হাফ ডোজ দেবার ১ মাস পর ফুল ডোজ নেওয়া হয়।
কোভ্যাক্সিন-এর হালকা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে রয়েছে ইনজেকশন স্থানে ব্যথা, ইনজেকশন স্থান ফোলা, ইনজেকশন পার্শ্ব লালচেভাব, ইনজেকশন পার্শ্ব চুলকানি, উপরের বাহুতে শক্ত ভাব, ইনজেকশন বাহুতে দুর্বলতা, শরীরের ব্যথা, মাথা ব্যাথা, জ্বর, ব্যাধি, দুর্বলতা, ফুসকুড়ি, বমি, বমিভাব। ৪ জন লোকের মধ্যে ১ জন হালকা, স্বল্পস্থায়ী পদ্ধতিগত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনুভব করে। পদ্ধতিগত প্রভাবগুলির মধ্যে মাথাব্যথা, অবসন্নতা, শীতলতা এবং কাঁপুনি, ডায়রিয়া, জ্বর, আর্থ্রালজিয়া, মায়ালজিয়া এবং বমিভাব অন্তর্ভুক্ত।
কোভ্যাক্সিন-এর দাম তুলনামূলকভাবে বেশি। রাজ্য সরকারকে ৪০০ টাকা এবং বেসরকারি সংস্থাকে ১২০০ টাকা দিয়ে এই ভ্যাকসিন-এর প্রতিটি ডোজ কিনতে হবে। কোভিশিল্ড-এর দাম তুলনামূলকভাবে কম। রাজ্য সরকারকে ৩০০ টাকা এবং বেসরকারি সংস্থাকে ৬০০ টাকা দিয়ে এই ভ্যাকসিন-এর প্রতিটি ডোজ কিনতে হবে।

 

আপনার কোন টিকা নেওয়া উচিত?

দয়া করে এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবেন না। যে কোনো একটি নিয়ে নিন! নিরাপদে থাকুন এবং টিকা নিয়ে কোরোনার বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে জয়ী হন।

 

 


আরও পড়ুন:

Follow Bangla Live on Facebook

Follow Bangla Live on YouTube