মে’র শেষে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মুখে হাসি ফুটল।
মে‘র শেষে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মুখে হাসি ফুটল। কারণ চার শতাংশ মহার্ঘ ভাতা (ডিয়ারনেস অ্যালোওয়েন্স ব ডিএ) বেড়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকল। শুধু তাই নয়, আরও একটা সুখবর অপেক্ষা করে আছে তাঁদের জন্য।
মাস শেষ হওয়ার আগেই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের অ্যাকাউন্টে বেতন ঢুকতে শুরু করে দিয়েছে।
ষষ্ঠ বেতন কমিশনের ভিত্তিতে ১৪ শতাংশ হারেই তাঁরা মহার্ঘ ভাতা (ডিয়ারনেস অ্যালোওয়েন্স বা ডিএ) পাচ্ছেন। যা ২০২৪ সালের মে থেকে কার্যকর হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের অ্যাকাউন্টে এবার বর্ধিত হারে ডিএ ঢুকেছে। ফলে বেড়েছে বেতনের অঙ্কটা।
গত ১ মার্চ রাজ্য অর্থ দফতরের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছিল, ২০২৪ সালের ১ মে থেকে রাজ্য সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, পঞ্চায়েতের কর্মী, পুরসভার কর্মীদের চার শতাংশ ডিএ বাড়ানো হচ্ছে। তার ফলে তাঁরা ১ মে থেকে বেসিক পে’র ১৪ শতাংশ হারে ডিএ পাবেন। একইভাবে পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রেও চার শতাংশ ডিয়ারনেস রিলিফ বাড়ানো হয়েছে।
তবে এখানেই শেষ হচ্ছে না। শীঘ্রই আবারও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ার কথা। সেটা অবশ্য নতুন কোনও বিষয় নয়। প্রতি বছর সাধারণত জুলাই থেকে বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ ইনক্রিমেন্ট হয় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের। এবারও সেটা হওয়ার কথা।
যদিও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশের স্পষ্ট দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীদের হারেই তাঁদের ডিএ প্রদান করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা আপাতত সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় আছেন। তাঁরা ৫০ শতাংশ হারে ডিএ পান। যা গত মার্চ থেকে কার্যকর হয়েছে। সেইসঙ্গে ডিএ ৫০ শতাংশ ছুঁয়ে ফেলায় হাউস রেন্ট অ্যালোওয়েন্স-সহ একগুচ্ছ ভাতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সেইসবের মধ্যেই আগামী জুলাইয়ে সুপ্রিম কোর্টে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মামলা উঠবে। সেই বকেয়া ডিএ মামলাটি অবশ্য পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতাভুক্ত। পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় বকেয়া ডিএ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলার শুনানি চলছে।