দেশজুড়ে চালু হবে ডিজিটাল কারেন্সি, ই-পাসপোর্ট
আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি। সঙ্গে রয়েছে ৪৫ বছরের রেকর্ড বেকারত্ব। দুয়ারে অস্বস্তি বাড়িয়ে রেখেছে করোনা। রয়েছে পাঁচ রাজ্যের ভোট। এই আবহে বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
২০২২-২৩ সালের এই বাজেট মোদি সরকারের কাছে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জের।
কারণ, টানা দু’বছর করোনার পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি, জীবন-জীবিকায় প্রভাব। শিক্ষা, স্বাস্থ্যও মুখ থুবড়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারসাম্যের বাজেট প্রস্তাব রাখলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
গোটা দেশজুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে দিতে বড় ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী। জানান, দেশজুড়ে চালু হবে 5G পরিষেবা। দেশের প্রান্তিক এলাকাগুলিতে ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্র। ২০২৫ সালের মধ্যে সব গ্রামে অপটিকাল ফাইবার পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী। গ্রামাঞ্চলে ব্রড ব্যান্ড পরিষেবার জোর দেওয়া হবে বলেও বাজেটে প্রস্তাব দেন অর্থমন্ত্রী।
এদিনের বাজেটে ই-পরিষেবার উপর গুরুত্ব দেন অর্থমন্ত্রী। জানান, দেশেই তৈরি হবে ই-গাড়ির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাটারি। দেশজুড়ে চালু হবে ডিজিটাল কারেন্সি। এর জন্য নতুন প্রযুক্তি আনার প্রস্তাব দেন অর্থমন্ত্রী। ই-পাসপোর্টের উপর জোর দেওয়া হবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী। আগামী এক বছরের মধ্যে দেশি ডিজিটাল মুদ্রা RBI আনতে চলছে বলেও জানান সীতারমন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রকগুলির মধ্যে আর্থিক লেনদেন মসৃণ করার জন্য অনলাইন বিল ব্যবস্থা চালু প্রস্তাব দেন অর্থমন্ত্রী
পরিষেবা খাতে দেশে ৫ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে। ১০০ গতিশক্তি কার্গো টার্মিনাল করা হবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী। দেশজুড়ে ৫টি নদীকে জুড়তে পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলেও বাজেটে আশ্বাস দেন নির্মলা। এমএসএমই-তে বাড়তি ২ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব দেন অর্থমন্ত্রী। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে উত্সাহ দিতে ২লক্ষ ৭৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে বলেও এদিন বাজেট প্রস্তাব রাখেন অর্থমন্ত্রী।
সংসদে চতুর্থবার কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন সব থেকে বেশি জোর দেন পিপিপি মডেলের উপর। এদিন অর্থমন্ত্রী জানান, বাজেটে থাকবে আগামী ২৫ বছরের ব্লু প্রিন্ট। পরিকাঠামো নির্মাণে ২০ হাজার কোটির বিনিয়োগ করা হবে বলেও জানান নির্মলা সীতারমন। ২০২৩ আর্থিক বছরে ২৫ হাজার কিলোমিটার সড়ক প্রসারিত করা হবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী। জীবন বিমা শেয়ার বাজারে ছাড়ার বিষয়েও প্রস্তাব দেন অর্থমন্ত্রী। বাজেট প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রী জানান, শেয়ার বাজারে আসছে জীবন বিমা নিগমের আইপিও। রেলে পিপিপি মডেলে জোর দেওয়া হবে। আত্মনির্ভর ভারত গড়া আমাদের লক্ষ্য। আমরা সাধারণ মানুষের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করি। আমরা এয়ার ইন্ডিয়াকে বিক্রি করতে পেরেছি।
ভারত ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠছে। গরিবদের জীবনে বদল আনা হচ্ছে। দেশে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। ৬০ লক্ষ্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করাই কেন্দ্রের লক্ষ্য বলেও জানান অর্থমন্ত্রী। জোর দেওয়া হবে পরিকাঠামো উন্নয়নে। ২০ হাজার কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দের প্রস্তাবও দেন অর্থমন্ত্রী। বাজেটে আগামী ২৫ বছরের রূপরেখা তৈরি হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।