দেবীদুর্গার মহিষাসুর বধ নিয়ে অসংখ্য গল্প রয়েছে
পুজোর মাত্র বাকি আর কয়েকদিন। দুর্গাপূজা নিয়ে বাঙালির আবেগ আনন্দের সীমা নেই। তার সঙ্গে দুর্গা পুজো নিয়ে পৌরাণিক গল্পও রয়েছে অসংখ্য। লোকমুখেও ঘোরে ফিরে বেড়ায় বহু গল্প। তেমনই মহিষাসুর বধ হওয়ার আগে দেবী দুর্গাকে কী কী ভাবে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল সেই গল্পও রয়েছে পুরাণে। মার্কণ্ডেয় পুরাণ অনুযায়ী ১০০ বছর ধরে অসুরদের সঙ্গে যুদ্ধ চলার পরে দেবতারা এক দেবীমূর্তি তৈরি করেন, যিনি হলেন মহামায়া মহিষাসুর মর্দিনী।
মহিষাসুরের সঙ্গে লড়াইয়ের সময়ে দেবতারাই তাঁকে রণসাজে ভূষিত করেছিলেন। মহিষাসুরের সঙ্গে লড়ার আগে বহু অসুরকে পরাস্ত করেন দেবী। তখন রণক্ষেত্রে অবতীর্ণ হয় স্বয়ং মহিষাসুর। অন্যদিকে দেবীর বাহন সিংহও তখন সমান তালে লড়াই করছে। সেই দেখে মহিষাসুর সিংহকে মারতে উদ্যত হয়। তাই দেখে দেবী রেগে গিয়ে মহাপাশ ছুড়ে মারে মহিষাসুরকে। তখন দেবীকে বিভ্রান্ত করার জন্য মহিষাসুর সিংহের রূপ নেয়। তবে দেবী তাকে খড়্গ দিয়ে কেটে ফেলে। এর রে আবার এক হাতির রূপ নেয় মহিষাসুর। সঙ্গে সঙ্গে সেই হাতির শুঁড়কে কেটে ফেলেন দেবী। আর তার পরে ফের মহিষাসুর মহিষ রূপে ফিরে গিয়ে দেবীর সঙ্গে লড়াই করতে থাকে।
কিন্তু এর কিছুক্ষণের মধ্যেই দেবী সুরা পান করে মহিষাসুরকে পরাস্ত করতে উদ্যত হন। প্রথম মহিষের মুখ কেটে ফেলেন তিনি। কিছু সময়ের মধ্যেই তিনি অসুরের বুকে বিঁধিয়ে দেন সেই ত্রিশূল। তবে শেষ মুহূর্তে নিজেও সমর্পিত হন মহিষাসুর। এই দৃশ্য দেখে দেবতারা তখন আনন্দে মেতে ওঠেনষ। দীর্ঘকাল পরে তাঁরা ফিরতে পারেন স্বর্গে।
দেবীদুর্গার মহিষাসুর বধ নিয়ে এমন অসংখ্য গল্প রয়েছে যা ছোটদের কাছেও খুবই আকর্ষণীয়। কিছু গল্প মানুষ শুনতে পারে মহালায়ায় বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে।