দলীয় কোন্দল ভাবাচ্ছে হাইকমান্ডকে। এই নিয়ে দলের রাজ্য সভাপতিদের ধমক দিলেন সোনিয়া
কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে ক্রমেই গুরুত্ব হারাচ্ছে কংগ্রেস। সংসদে আসন ক্রমেই কমছে। যে ক’টা রাজ্যে ক্ষমতায় টিকে ছিল দল, সেখানেও অন্তর্দ্বন্দ মাথাচাড়া দিয়েছে। আর তার জেরেই হারাতে চলেছে গদি। রাজস্থানের পর পাঞ্জাব এবং ছত্তিশগড়ে দলীয় কোন্দল ভাবাচ্ছে হাইকমান্ডকে। এই নিয়ে দলের রাজ্য সভাপতিদের ধমক দিলেন সোনিয়া। বললেন, ব্যক্তিগত স্বার্থের ওপরে উঠে দলীয় নেতাদের এবার দলীয় শৃঙ্খলা আর ঐক্যের ওপর নজর দেওয়া উচিত।
আগামী বছর উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, গোয়া ও মণিপুর— পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দপ্তরে বৈঠক বসে। এদিনের বৈঠকে কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। ছিলেন দলের সব সাধারণ সম্পাদক, রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত প্রধান ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিরা। সেখানেই নির্বাচনের পরিকল্পনা তৈরি হল এদিন। বিভিন্ন রাজ্যে কোন্দল নিয়ে আশঙ্কাও প্রকাশ করা হল।
এভাবে চললে হার অনিবার্য বলেই মনে করছে হাইকমান্ড। তাই এদিন কংগ্রেসের প্রাদেশিক নেতাদের কাছে সোনিয়া স্পষ্ট বলেন, ‘রাজ্যস্তরে নেতাদের মধ্যে স্বচ্ছতা ও সংহতির অভাব স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে। আমি শৃঙ্খলা ও ঐক্যের উপর জোর দিচ্ছি। ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষাকে সরিয়ে রেখে সংগঠনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে আমাদের।’
এর পরেই ৭৪ বছরের দলনেত্রী বিজেপি এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ডাক দেন। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে ১ নভেম্বর থেকে কংগ্রেসে যোগদান কর্মসূচি শুরু করা হচ্ছে। চলবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। যুব সম্প্রদায়কে দলে যোগদানে আগ্রহী করার লক্ষ্যে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।