এবার দুয়ারে ড্রাইভিং লাইসেন্স কর্মসূচি!
রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পগুলিকে মাথায় রেখে ঘাটাল মহকুমা প্রশাসনের বিশেষ উদ্যোগ দুয়ারে ড্রাইভিং লাইসেন্স। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমা প্রশাসনের বিশেষ উদ্যোগ এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে । পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ পালিত হচ্ছে রাজ্য জুড়ে। সঙ্গে গাড়ির চালকদের সচেতন করতে ধরপাকড় চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশি অভিযানে উঠে আসছে অনেক গাড়ির চালকের নেই ড্রাইভিং লাইসেন্সও। যার ফলে দুর্ঘটনা ঘটছে বলে দাবি মহকুমা প্রসাশনের। ঘাটাল মহকুমা প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে এলাকায় গাড়ির চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স তুলে দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছেন।
ঘাটালের মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস বলেন, “মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে এলাকার মানুষের হাতে সঙ্গে সঙ্গে ড্রাইভিং লাইসেন্সের লার্নার সার্টিফিকেট তুলে দেওয়ার একটি কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।” ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আগে প্রশাসনিক দফতরে গিয়ে আবেদন করার পর বেশ কিছুদিন সময় লেগে যেত। এখন তা সহজভাবে সঙ্গে সঙ্গে আবেদন করা যাবে। এর সঙ্গে সঙ্গে ড্রাইভিং লাইসেন্সের লার্নার সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হচ্ছে।
মহকুমা শাসকের উদ্যোগে দাসপুর ১ ও ২ ব্লক চন্দ্রকোণা ১ও২ ব্লকে এই বিশেষ শিবির শুরু হয়েছে। ঘাটাল মটোর ভেইক্যালস অফিসের স্টাফেদের নিয়ে ব্লকে ব্লকে ক্যাম্প করছেন ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান প্রক্রিয়ার জন্য। ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় নথি যাচাই করে হাতে হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে লার্নার সার্টিফিকেট।
এক মাস পরে ট্রায়াল’ দিয়ে চালক পেয়ে যাবেন ড্রাইভিং লাইসেন্স। ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস জানিয়েছেন এইভাবে এলাকায় এলাকায় আরও ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান কর্মসূচি চালানো হবে। বাড়ির কাছে হাতে হাতে ড্রাইভিং লাইসেন্সর লার্নার সার্টিফিকেট পেয়ে খুশি এলাকার মানুষ।
চন্দ্রকোণা ১ নম্বর ব্লকের বিডিও রথীন্দ্রনাথ অধিকারী বলেন, “ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য মানুষকে আগে মেদিনীপুর, ঘাটালে যেতে হত। সেই জন্য আমরা ক্যাম্প মোডে সাব ডিভিশন থেকে প্রত্যেক ব্লকে ব্লকে ক্যাম্প করা হচ্ছে। প্রচুর মানুষ ভিড় করছেন। ভালো কাজ করছেন। এতে বহু মানুষের উপকৃত হবেন। দুর্ঘটনাও অনেকটা কমবে। চালক আরও বেশি সচেতন হবেন। ড্রাইভিংয়ের সময়েও অনেক বেশি নিয়ম কানন মানবেন তাঁরা।”
অন্যদিকে, মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস বলেন, ” মহকুমা অনেকটা বড়। পাঁচটা ব্লক রয়েছে, পাঁচটা মিউনিসিপ্যালিটি রয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে মানুষ আসতে পারেন না। দুবার করে আসতে হয়। একবার লার্নার, তারপর লাইসেন্সের জন্য। সেক্ষেত্রে অনেকেরই আসতে অসুবিধা হয়। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মেয়েরাও গাড়ি, স্কুটি চালাচ্ছেন। দূরবর্তী ব্লকগুলিতে আমরা এই কর্মসূচি নিয়েছি। ”
একজন গ্রামবাসী বলেন, “আগে তো অনেকটা দূরে যেতে হত। এখন যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাতে বহু মানুষ উপকৃত হচ্ছেন।”