‘দুয়ারে সরকার’ শিবির আয়োজনের খরচ নিয়ে চিন্তিত বহু পঞ্চায়েত
রমরমিয়ে চলছে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প। প্রতিটি পঞ্চায়েতে চলছে এই শিবির। মানুষের উচ্ছ্বাস দেখে বোঝায় যাচ্ছে প্রকল্পের সাফল্য। কিন্তু তার খরচ নিয়ে চিন্তিত বহু পঞ্চায়েত এবং ব্লক প্রশাসনের কর্তারা। একই সঙ্গে ক্ষতি হচ্ছে শিবিরে থাকা আধিকারিকদের দৈনন্দিন কাজও। পূর্ব বর্ধমানে পঞ্চায়েতের সংখ্যা ২১৫। পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনের একাংশের দাবি, শিবির আয়োজনের জন্য অনেক টাকা খরচ হয়েছে। এখনও প্রশাসনের উচ্চ স্তর থেকে সেই টাকা মেলেনি। পূর্ব বর্ধমানের একাধিক বিডিও মহকুমা ও জেলা প্রশাসনের কাছে টাকার আবেদন করেছেন।
কয়েক জন বিডিও-র অভিযোগ, পঞ্চায়েতগুলি ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরের খরচ চেয়ে ব্লকে আবেদন করছে। জেলা প্রশাসনকে তা জানানো হয়েছে। কিন্তু জেলাশাসক প্রিয়ঙ্কা সিংলা কোনও মন্তব্য করেননি। মেমারির আমাদপুরের তৃণমূল নেতাদের দাবি, ‘শিবির করতে অনেক খরচ হচ্ছে। তহবিলের হাল ভাল নয়। তাই বিডিও-র কাছে নিয়মিত টাকা চাইছি। কম-বেশি তিন লক্ষ টাকা লাগবে।’
গত বুধবার খণ্ডঘোষের শাঁকারি ১ পঞ্চায়েতের পলেমপুরে ‘দুয়ারে সরকার’-এর শিবিরে হাজির ছিলেন বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগ। তাঁর কথায়, ‘মানুষের সুবিধে-অসুবিধে দেখতে গিয়েছিলাম। অনেকেই যাচ্ছেন।’ যদিও প্রশাসন সূত্রে খবর, ব্লক প্রশাসনের কর্তারা শিবিরে যাওয়ায় ব্লক অফিস কার্যত ফাঁকা থাকছে। দৈনন্দিন কাজ আটকে যাচ্ছে।