দুর্নীতির অভিযোগের জের, দায়িত্ব নিয়েই ইস্তফা দিলেন বিহারের শিক্ষামন্ত্রী
বৃহস্পতিবারই মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অবশ্য ইস্তফা দিলেন বিহারের শিক্ষামন্ত্রী মেওয়ালাল চৌধুরী। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ আছে, যার জন্য অতীতে জেডিইউ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন তিনি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের সঙ্গে ৩০ মিনিটের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর ইস্তফা দেন তারাপুরের বিধায়ক।
বিহার কৃষি বিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালীন শিক্ষক নিয়োগে অনেক অসঙ্গতি করার অভিযোগ আছে মেওয়ালালের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবারই প্রাক্তন আইপিএস অফিসার অমিতাভ দাস রাজ্যের ডিজিপিকে চিঠি লিখেছেন মেওয়ালালের স্ত্রীর রহস্য মৃত্যুর তদন্ত চেয়ে। তাঁর অভিযোগ যে মেওয়ালালের স্ত্রী, প্রাক্তন বিধায়ক নীতা চৌধুরী দুর্নীতির বিষয় পুরোটাই জানতেন। মেওয়ালাল যদিও এই প্রাক্তন আমলার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার হুমকি দিয়েছেন।
তিনি মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকেই সোচ্চার হয়ে বিরোধীরা। কেন একজন দাগি বিধায়ককে নীতিশ মন্ত্রী করলেন সেই প্রশ্ন তাঁরা করেন। এদিন তাঁর ইস্তফার পর নীতিশের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তেজস্বী যাদব। পুরো বিষয়টিকে নাটক বলে অভিহিত করেন তিনি। জনতার জয় হয়েছে, বক্তব্য সিপিআইএমএল-এর।
সূত্রের খবর, তৎকালীন বিহারের রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাম নাথ কোবিন্দের নির্দেশে মেওয়ালালের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে এফআইআর দায়ের করা হয়। জালিয়াতি, ষড়যন্ত্র সহ আইপিসির একাধিক ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়। তারপরেই জেডিইউ থেকে বিতাড়িত হন তিনি। তবে সেই মামলায় দ্রুতই অগ্রিম জামিন পেয়ে যান মেওয়ালাল। ভোটে জিতে মন্ত্রীও হয়েছিলেন, কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।