সমস্ত বাজি নিষিদ্ধ করল আদালত।
কালীপুজো, ছটপুজোয় পোড়ানো যাবে না কোনও ধরনের বাজি। আতশবাজি, শব্দবাজি কোনও বাজিই পোড়ানো যাবে না। গতবছরের নির্দেশিকাই বহাল রাখল হাইকোর্ট। আদালতের বক্তব্য, পরিবেশবান্ধব বাজি চিহ্নিত করার উপায় পুলিশের নেই। পুলিশের পক্ষে বাজি চিহ্নিত করা অসম্ভব। তাই করোনার কথা মাথায় রেখে রোগীদের শ্বাসযন্ত্রের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেই জন্যই এই নির্দেশ আদালতের।
এরাজ্যে বাজি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ। তাদের তরফে আদালতে এই বিষয়টি জানানো হলেও আদালতের বক্তব্য, যেমন ৩০ লক্ষ মানুষ বাজি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ঠিক তেমনভাবেই এরাজ্যে ১১ কোটি মানুষ রয়েছে। বৃহত্তর স্বার্থে ক্ষুদ্রতর স্বার্থকে ত্যাগ করতে হয়।
রাজ্যে করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। এই পরিস্থিতিতে বাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন রোশনি আলি নামে এক সমাজকর্মী। ওই মামলারই শুনানি ছিল শুক্রবার। সেই মামলাতেই এই রায় দিল আদালত।
যদিও কয়েকদিন আগে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। তবে হাইকোর্ট এদিন স্পষ্টভাবে জানাল কালীপুজোয় কোনও ধরনের বাজি পোড়ানো যাবে না। পাশাপাশি ছটপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো, বড়দিনেও সমস্ত বাজি নিষিদ্ধ করল আদালত। অর্থাৎ, এবছরও মোমবাতি, প্রদীপে পালন করতে হবে দীপাবলি।