+91 9330828434 +91 9804424251 banglalivenews@gmail.com

শুক্রবার দুপুরে কালীঘাটে মমতার বাড়িতে বসে বৈঠক করলেন প্রশান্ত কিশোর।

নিজস্ব সংবাদদাতা - July 10, 2021 10:15 am - কলকাতা

শুক্রবার দুপুরে কালীঘাটে মমতার বাড়িতে বসে বৈঠক করলেন প্রশান্ত কিশোর।

দলের অন্দরে কথাটা শোনা যাচ্ছিল। তৃণমূলে জেলাস্তরে আমূল বদল আনা হবে। কিছু ক্ষেত্রের সংস্কারও হবে। সেই কথা যে সত্যি, তার আঁচ এদিন পাওয়া গেল। শুক্রবার দুপুরে কালীঘাটে মমতার বাড়িতে বসে বৈঠক করলেন প্রশান্ত কিশোর। সূত্রের খবর, বৈঠকে জেলাস্তরে সাংগঠনিক রদবদল নিয়েই কথা হয়েছে দু’‌জনের। এদিন বিধানসভা অধিবেশনের শেষ দিন ছিল। কিন্তু বিধানসভায় যাননি মমতা। নবান্নেও যাননি। সেখানে স্যানিটাইজেশনের কাজ চলছে। তাই এদিন কালীঘাটের বাড়িতেই ছিলেন নেত্রী। সেখানেই আসেন পিকে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত মমতার হয়ে ভোটকৌশল তৈরির দায়িত্বে রয়েছে তাঁর সংস্থা।  এর আগে জুন মাসে সর্বভারতীয় এবং রাজ্য স্তরে সাংগঠনিক বদল আনেন মমতা। খবর, সেটা পিকে–র পরামর্শে। মমতা ঘোষণা করেন, ‘‌এই ব্যক্তি এক পদ’‌। অর্থাৎ এক জন নেতা একটি পদেই থাকতে পারবেন। সেই নীতিতে রাজ্যের বেশ কয়েক জন মন্ত্রীকে দলীয় পদ ছাড়তে হবে। আবার দলের কোনও পদাধিকারীকে নিয়োগ করা হবে না প্রশাসনিক পদে। এবার সেই নিয়েই সম্ভবত আলোচনায় বসলেন মমতা আর পিকে।  নতুন নিয়মের ফলে অন্তত চারটি জেলার জেলা সভাপতি বদল করতে হবে মমতাকে। নয়তো বদল আনতে হবে মন্ত্রিসভায়। উত্তর ২৪ পরগনার সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বর্তমানে বনমন্ত্রী, হাওড়া গ্রামীণের সভাপতি পুলক রায় বর্তমানে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের দায়িত্বে, পূর্ব মেদিনীপুরের সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র বর্তমানে সেচমন্ত্রী এবং পূর্ব বর্ধমানের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ রয়েছেন প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের দায়িত্বে। তাঁদের যে কোনও একটি পদ ছাড়তে হবে। কাকে পদে বহাল রাখা হবে, সেই নিয়েই এবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন সুপ্রিমো। তার পরেই কোমর বেঁধে উপনির্বাচনের জন্য ঝাঁপাতে চায় তৃণমূল।


আরও পড়ুন:

Follow Bangla Live on Facebook

Follow Bangla Live on YouTube