ঘুম ভাঙানোর আলো – প্রবন্ধ
আলো অপর নাম চেতনা। আলো আছে তাই অন্ধকার ও আছে, অন্ধকার আছে তাই আলোর সাথর্কতা। রাএের অন্ধকার সঙ্গে মানুষ বা জীবকূলের ঘুমের সর্ম্পক থাকে। আবার সুয়ের আলো ফোটার সঙ্গে মানুষ বা জীবকুলের ঘূম ভাঙানোর সর্ম্পক বর্তমান। সুতরাং বলা যেতে পারে আলো এবং অন্ধকার প্রকতিতে সাম্য অবস্তায় বর্তমান থাকে। অসাম্য অবস্থায় সহঅবস্থান করলেই মানুষর নানা রকমের সমস্যা আসতে শ্তরু করে। প্রথমে যে সমস্যা উল্লেখ করা যায়, সেটি হল সাম্য তার অভাব। আদর্শ শিক্ষার অভাব মানুষের চেতনা ঘুমিয়ে থাকে আর আদর্শ শিক্ষার আলো ঘুম ভাঙাতে সমর্থ হয়। মানবিক চেতনা এক অমূল্য সম্পক। যাহার দ্বারা নিজ নিজ পরিবারের সমাজের এবং দেশের মানুষের কাছে সুস্থ এবং আদবর্শের আয়নার মতো কাজ করে। চেতনার সঙ্গে মানবিক গুণ যেমন ন্যায় নীতি এবং নৈতিক সাম্যতা যুক্ত থাকে এবং মানবিক বিচার বোধ ও চেতনার একটি আদবর্শ অঙ্গ। মানবিক চেতনা দুধরনের হয় যেমন স হজাত চেতনা এবং শিক্ষার দ্বারা চেতনা। শিক্ষার আলো বা চেতনার দ্বারা অঞ্জণতার ঘুম ভাঙানো সম্ভবপর হয়।চেতনা মূলে আছে আত্মত্যাগ এবং নিঃশর্ত মানুষের সেবা। আর এই সেবা যদি নিঃশর্ত না হয় তবে খানক্ষেত পাখীর দ্বারা পাহাড়া দেওয়ার মতো হয়। পাকা ধানের ক্ষেতে যদি পাহারা দ্বার শূর্ন হয়।আর সেই ক্ষেতে যদি পাখিদের অধিকারে চলে যায়। অর্থাৎ ধানের গাছ রইবে কিন্তু ধান থাকবে না।সঠিক ফসল পেতে হলে চাষীর কবর্ম সঠিক সময়ে করতে হবে। আর ইহা সম্ভবপর হয়, আর এই চেতনা আসে শিক্ষার দ্বারা আর শিক্ষা আদর্শ গত হতে হবে নইলে মানবিক মূল্য বোধ ফিরবে না এবং চেতনার ও উন্মেস ঘটবে না। আর যদি এরূপ না হয় তবে বিপরীত চিএ দেখা যাবে। যেমন গৃহ পালিতের পাহাড়াদার যদি বাঘ মামা হয় তবে যে অবস্থার সষ্টি হয় তদ্রুপ অনুমান করা যেতে পারে ছাগলের খোয়ার যদি বাঘে পাহাড় দেয় তাহা ছাগলের কী প্রানে বাচার ভয় থাকবে কিন্তু ঘুমন্ত অবস্থাই প্রানের ভয় থাকবে না। অথচ বাঘের খাদ্য ছাগল, জাগ্রত অবস্তায় ছাগল গুলি প্রানে বাঁচার জন্য ছোটাছুটি শুরু করে দেবে কিন্তু পালাবার তো পথ নেই। চারিদিকে ঘেরা আর অন্য দিকে দরজায় পাহাড়াদার বাঘ জাগ্রত অবস্থায় বসে রয়েছে। এযেন ঠিক স ন্ন্যাসী ভিক্ষুকের বেশে রমণীর অপহরণ কান্ড। রমণীর গৃহে তার গহস্বামী গৃহে নেই এমন কী কোনো পুরুষ বা মহিলা সদস্যা গৃহে নেই এই রকম পরিস্তিতিতে ঠিক যেন ঘুমের মধ্যে বা আধারের মধ্যে কালো গলির অতল তলে হারিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। এই ধরনের আবস্থ থেকে পারিএাণ পেতে গেলে সমাজ বদ্ধ হয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে।আর এর জন্য শিক্ষার প্রয়োজন শিক্ষা এলে প্রকৃত চেতনার উন্মেস ঘটবে আর চেতনার উন্মেস সমাজ বদ্ধ হয়ে বাঁচার শিক্ষা দেয় এবং তখন বৃহৎ স্বার্থের কথা মাথায় রেখে খনস্থায়ী স্বার্থত্যাগ করা সম্ভবপর হতে পারে।মানুষের বুদ্ধি এবং শিক্ষার কাছে বনের হিংস্র জন্তু জানো য়ার হার মেনে মানুষ কাছে অবন্ত মস্তক হয়। মানুষ বনের বাঘ ভালুক হাতী এবং বানরের সঙ্গে নিত্য হয়ে সহঅবস্থান করতে দেখা যায়। আগে বাঘ ভালুক এবং হাতীর সাকাসের খেলার বিনোদন ছিল। যাহার সাকাস বিনোদনের এক সময় বিনো্দনের অঙ্গও ছিল। কারণ মানুষের বুদ্বির কাছে তারা হার মানত। আজকের এই ২০২o শতাব্দীর এক অজনা রোগের ভয়ে সারা পথিবীর মানুষ তস্ত হয়ে উঠেছিল। মানুষ বুদ্বির দ্বারা সেই মারণ রোগের জীবানুর আবিষ্কার এবং সেই সঙ্গে প্রতিশেধক আবিষ্কার হল এবং সেই সঙ্গে প্রতিশেধক আবিষ্কার হল এবং সেই প্রতিষেধকের দ্বারা করোনো ভাইরাস অর্থাৎ কোভিড-১৯ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভবপর হল। উপ্রের এই ঘটনা প্রবাহ প্রমান করে যে চেতনার আলোর দ্বারা কালো অন্ধকার সরানো সম্ভবপর যাহা ঘুম ভাঙানো আলোর নামান্তর মাএ।
-অশোক কুমার হালদার
বিশিষ্ট সাহিত্যিক, মালদা