রবিবার রাতে মমতা পৌঁছে গেলেন গোয়ায়।
এক দিন কাটিয়ে ফের আজ, রবিবার রাতে তিনি পৌঁছে গেলেন গোয়ায়। তাঁকে বিমান বন্দরে স্বাগত জানালেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেইরো। সেখানে থাকবেন তিন দিন। রয়েছে ঠাসা কর্মসূচি। এবারেও কি তাঁর উপস্থিতিতে ঘটবে নয়া চমক? সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
গত মাসেই গোয়ায় গেছিলেন মমতা। তখন তাঁর উপস্থিতিতে গোয়ায় তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন নাফিসা আলি, লিয়েন্ডার পেজের মতো একাধিক সেলেব। এবারেও কি সে রকমই কেউ যোগ দেবেন তৃণমূলে? ইতিমধ্যেই গোয়া পৌঁছে গিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নেতা বাবুল সুপ্রিয়। তাঁরা গিয়ে হাল ধরেছেন সংগঠনের।
শোনা যাচ্ছে, সোমবার মমতার হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, এনসিপি বিধায়ক আলেমাও চার্চিল। এখানেই শেষ নয়। গোয়ায় মহারাষ্ট্রওয়াড়ি গোমন্তক পার্টির হাত ধরতে পারে তৃণমূল। সোমবার সেই কথাই সরকারিভাবে ঘোষণা করতে পারেন মমতা।
সোমবার সাংবাদিক বৈঠক রয়েছে মমতার। এরপর দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করার কথা তাঁর। বেনৌলিমে জনসভাও করবেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার পানাজি এবং আসানোরার জনসভায় বক্তব্য রাখবেন তৃণমূল প্রধান।
এদিকে মমতার সফর শুরু আগেই এদিন আপ ঘোষণা করেছে, গোয়ায় তৃণমূলের হাত তারা ধরবে না। সে রাজ্যে আপ–এর সংগঠনের ভার রয়েছে আতিশির ওপর। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি তৃণমূলের সঙ্গে কোনও ভাবেই আসনরফার পথে হাঁটবে না আমি আদমি পার্টি। ফলে তাদের সঙ্গে কথা বলারও প্রশ্ন নেই।’ জল্পনা শোনা যাচ্ছিল, পশ্চিমের এই রাজ্যে হাত ধরতে পারে আপ এবং তৃণমূল। সেই জল্পনাতেই জল পড়ল।