জিএসটি পরিষদের বৈঠকে তাঁকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। নির্মলা সীতারামনকে চিঠি অমিত মিত্রের।
জিএসটি পরিষদের বৈঠকে তাঁকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। নির্মলা সীতারামনকে চিঠি অমিত মিত্রের। তাঁর পর্যবেক্ষণের বিষয়ে কথা বলা হয়েছে। অথচ জিএসটি পরিষদের বৈঠকে তাঁকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। উলটে উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রীকে সুযোগ দেওয়া হয়। যিনি তাঁর মন্তব্য বাতিল করতে বলেন। তা নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি লিখে কণ্ঠরোধের অভিযোগ তুললেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। শনিবার রাতের দিকে দেড় পাতার চিঠিতে পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী জানান, জিএসটি পরিষদের বৈঠকের শেষে বক্তৃতার সময় তাঁর একাধিক পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন সীতারামন। তাতে অমিত মিত্রের নামও নেন। তা সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের অর্থমন্ত্রীকে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। একাধিকবার আর্জি জানানো সত্ত্বেও সীতারামনের মন্তব্যের জবাব দিতে দেওয়া হয়নি। চিঠিতে বাংলার অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘উলটে আপনি উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রীকে কথা বলার সযোগ দেন। যিনি আমার নাম ধরে আমার মন্তব্যের কয়েকটি অংশে বাদ দিতে বলেন। আশ্চর্যজনকভাবে আপনি সেটা মেনেও নেন। আমি জীবনেও ভাবতে পারিনি যে জিএসটি পরিষদের বৈঠকে এরকম হবে, আমার কণ্ঠরোধ করা হবে। অথচ জিএসটি পরিষদের ৪৪ টি বৈঠকে আমি সংযম ও ভদ্রতা বজায় রেখে চলেছি।’ যা যুক্তরাষ্ট্র কাঠামোর মূল ভিত্তিতে কুঠারাঘাত করেছেন বলে অভিযোগ করেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী। সেই চিঠি নিয়ে সীতারামন এখনও কোনও মন্তব্য না করলেও এগিয়ে এসেছেন তাঁর ডেপুটি। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কখনও দেখিনি যে জিএসটি পরিষদের বৈঠকের সময় (কেন্দ্রীয়) অর্থমন্ত্রী কাউকে আটকাচ্ছেন। আজ মনে হচ্ছিল যে পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী ভিডিয়ো কনফারেন্সের কানেকশন একভাবে থাকছিল না। জিএসটি পরিষদের কখনও ভিন্নমতকে দমিয়ে দেননি (কেন্দ্রীয়) অর্থমন্ত্রী। এরকম হয়েছে বলে একজন বর্ষীয়ান সদস্য অভিযোগ করছেন, তখন সেই বিষয়টা মানায় না।’