হাসপাতাল থেকে ছুটি পেলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।
হাসপাতাল থেকে ছুটি পেলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। পার্সোনাল রিস্ক বন্ডে সই করে হাসপাতাল থেকে ছুটি পান তিনি। নারদ মামলায় ধৃত চার হেভিওয়েট নেতাকে গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। আপাতত বাড়ি ফিরেছেন ফিরহাদ হাকিম। বাকি তিনজন অর্থাৎ মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত মুখোপাধ্যায় এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ছিলেন। এই তিন নেতার চিকিত্সার দায়িত্বে থাকা মেডিকেল বোর্ড তাঁদের এখন হাসপাতাল থেকে ছুটি দিতে রাজি ছিল না। ফলে পার্সোনাল রিস্ক বন্ডে সই করে ছুটি নিতে হল শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। তবে এরই মধ্যে হাসপাতালের বারান্দা থেকে উঁকি মেরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় শোভন অভিযোগ করেন, তাঁকে ইচ্ছে করেই এসএসকেএমে আটকে রাখা হয়েছে। এমনকী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও দাবি করেছিলেন, ইচ্ছে করেই কারও নির্দেশে শোভনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হচ্ছে না। শনিবার রাত পৌনে ন’টা নাগাদ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান শোভন চট্টোপাধ্যায়। সেখান থেকে তিনি প্রেসিডেন্সি জেলে যাবেন। তার পর সেখানে আরও কিছু কাগজপত্রে স্বাক্ষর করতে হবে তাঁকে। তার পর কোন বাড়িতে তিনি যাবেন তার বিস্তারিত তথ্য জানাতে হবে তাঁকে। কারণ আদালতের নির্দেশ মেনে গৃহবন্দি থাকবেন তিনি। তাই প্রেসিডেন্সি জেল থেকে তিনি কোন বাড়িতে যাবেন তার যাবতীয় তথ্য জানাতে হবে কলকাতার প্রাক্তন মেয়রকে। মেডিকেল বোর্ড শোভনকে এখনই বাড়ি ফিরতে দিতে রাজি ছিল না। কিন্তু তিনি কার্যত নিজের দায়িত্বেই বাড়ি ফেরার কথা বলছিলেন। এর পরই শনিবার বিকেলে শোভনের বান্ধবী বৈশাখী বন্দোপাধ্যায় হাসপাতালের পাঁচটি বিভাগে মোট পাঁচটি চিঠি দেন। শেষ পর্যন্ত দিনভর নাটকের অবসান। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে জানিয়েছিলেন, হাসপাতাল ও জেল কর্তৃপক্ষের টানাপোড়েন চলছে। যার জেরে ছাড়া পাচ্ছিলেন না শোভন। তিনি বারবার পার্সোনাল বন্ডে সেই করে শোভনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছিলেন।