শহরে ফের হানা দিয়েছে কোভিড ১৯। সূত্রের খবর, কোভিডের নয়া ভ্যারিয়েন্ট HKU -1-এর খোঁজ মিলেছে শহরে।
নয়া বিপদ হানা দিল শহর কলকাতায়। জানা গিয়েছে, শহরে ফের হানা দিয়েছে কোভিড ১৯। সূত্রের খবর, কোভিডের নয়া ভ্যারিয়েন্ট HKU -1-এর খোঁজ মিলেছে শহরে। দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়া এলাকার বাসিন্দা বছর ৪৫-এর এক গৃহবধূ গত প্রায় ১৫ দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। প্রাথমিক চিকিৎসায় জ্বরের ওষুধ খেয়েও লাভ হয়নি, উল্টে জ্বর বেড়ে যাচ্ছিল। এরপর ওই মহিলাকে ভর্তি করা হয় দক্ষিণ কলকাতারই এক বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা পরীক্ষা করতেই ওই মহিলার শরীরে ধরা পড়ে করোনা ভাইরাস।
জানা যায়, এটি কোভিডেরই নয়া ভ্যারিয়েন্ট HKU -1। তবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই ভ্যারিয়েন্টটি মানুষের শরীরের পক্ষে ততটা বিপজ্জনক না হলেও সতর্ক থাকা ভাল। কারণ, খুব দ্রুত এটি অন্য মানুষের শরীরে সংক্রমিত হতে পারে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই মহিলা বর্তমানে স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছেন। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে ভারতে প্রথম হানা দেয় কোভিড ১৯। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে ওঠে সরকারের তরফে গোটা দেশে লকডাইন ঘোষণা করা হয়েছিল। শুধু ভারত নয় গোটা বিশ্ব সেই সময় চিন থেকে ছড়ানো এই মারণ ভাইরাসের কবলে পড়ে। কিছু কিছু দেশে রীতিমত অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে এটিকে ‘অতিমারি’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল।
২০২৩ সালে এসে হু-এর তরফে জানানো হয় বিশ্বে কোভিডের আতঙ্ক আর নেই। পাশাপাশি, টিকাকরণও সম্পন্ন হয়েছে। তবে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিবর্তন হয়েছে কোভিডের। দোলের মুখে সেই নতুন ভ্যারিয়েন্টেই আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতার বাসিন্দা। ফলে, ফের আতঙ্ক দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে শহরবাসীর মনে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নতুন ভ্যারিয়েন্ট থেকে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। উল্লেখ্য, করোনার পর চিনে দেখা দিয়েছে এইচএমপিভি ভাইরাসের আতঙ্ক। সেখানে দ্রুতগতিতে এই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, হাসপাতালে লম্বা লাইন পড়েছে। ফলে, আগেভাগেই সতর্কতা অবলম্বন করছে অন্যান্য দেশগুলি।