দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণ হবার অপেক্ষায় ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো।
দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণ হবার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। আগামী বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। রেল কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছে, উদ্বোধনের পর কিছুদিন সময় লাগবে ট্রেন চলাচল শুরু হতে। এই রুট হাওড়া ময়দান থেকে এসে যুক্ত হবে স্প্ল্যানেডে। কলকাতা মেট্রোয় যুক্ত হবে নতুন পালক, তৈরি হবে নতুন নজির। এই প্রথম ভারতের কোনও মেট্রো ট্রেন ছুটবে নদীর(গঙ্গা) নিচ দিয়ে। টালিগঞ্জ থেকে দমদম পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ের মেট্রো রুটে বেশ কয়েকটি রুট ইতিমধ্যে যুক্ত হয়েছে এবং আরও বেশ কিছু যুক্ত হতে চলেছে। যদি প্রথম রুটের সঙ্গে বাকি গুলোর চরিত্রগত পার্থক্য রয়েছে। প্রথমটি মাটির নিচ দিয়ে হলেও পরেরগুলো অনেকটা দিল্লি মেট্রোর আদলে মাটির ওপর দিয়েই চলাচল করে। প্রথম রুটটি তৈরির সময় মস্কো মেট্রোকে অনুকরন করা হয়েছিল। সেইসময় ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারদের একটি দলকে পাঠানো হয়েছিল মস্কোতে এই বিষয়ে বিস্তারিত জ্ঞান অর্জনের জন্য। সেই দলে ছিলেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার তথাগত বাবু একদিন ঘরোয়া আড্ডায় তাঁর সেই অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে বলেছিলেন, স্তালিনের ইচ্ছা অনুযায়ী, মস্কোর এই স্বপ্নের প্রকল্পটির মাথায় বসানো হয়েছিল তৎকালীন কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম নেতা ক্রুশ্চেভকে। ভয়ংকর কমিউনিস্ট বিদ্বেষী তথাগত বাবু সেদিন বলেছিলেন, “মস্কোর মেট্রোরেল দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম।” তাঁর কথায়, “আক্ষরিক অর্থেই পন্ডিত মানুষ ক্রুশ্চেভ তাঁর যাবতীয় নান্দনিক চেতনা আর শিল্প ভাস্কর্যের জ্ঞান উজাড় করে দিয়েছিলেন মেট্রো তৈরি সময়। সেই শিল্প বৈভব সমৃদ্ধ মস্কো মেট্রোর পুরোটা আমরা অনুকরণ করতে পারিনি।” অর্থাৎ কলকাতা মেট্রো মস্কো মেট্রোর কিছুটা অনুকরণ হয়েছে মাত্র। হয়ত বাজেট সহ নানাবিধ সীমাবদ্ধতা কাজ করেছিল ভারতবর্ষের প্রথম মেট্রো তৈরির সময়। মেট্রোর প্রথম রুটে জায়গা অনুযায়ী স্টেশনের নাম এবং সেই জায়গার বৈশিষ্ট্যকে স্টেশনের দেয়ালে তুলে ধরার ভাবনা এসেছিল মস্কো মেট্রোর হাত ধরেই। পরবর্তীকালে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে স্টেশনের নাম করণ শুরু হয়।