রাইসির মৃত্যুর পর ইরানে নতুন প্রেসিডেন্টের নাম ঘোষণা, পররাষ্ট্রমন্ত্রীও নিয়োগ
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর দেশটির প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মোখবার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেবেন। ১৯৯৭ সালে দেশটিতে গৃহীত ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সংবিধানের প্রথম সংস্করণের ১৩০ এবং ১৩১ অনুচ্ছেদ অনুসারে, যদি দেশের রাষ্ট্রপতি বরখাস্ত, পদত্যাগ, অনুপস্থিতি, অসুস্থতার বা মৃত্যুর কারণে তার আইনি দায়িত্ব পালনে অক্ষম হন, তাহলে প্রথম উপরাষ্ট্রপতি তার দায়িত্ব পালন করবেন।
এ ছাড়া নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হবেন আলী বাঘেরি কানি।
সংবিধানে বলা হয়েছে যে ইসলামী বিপ্লবের নেতার অনুমোদন পাওয়ার পর এই দায়িত্বগুলি প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্টের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং ৫০ দিনের মধ্যে দেশকে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করার আহ্বান জানানো হয়েছে। ইরানের রাজনীতি অনুসারে, দেশটির নেতা হলেন ইসলামী বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনি এবং রাষ্ট্রপতির আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনায় রাষ্ট্রপতিকে সরকারের প্রধান, দ্বিতীয়-ইন-কমান্ড হিসাবে বিবেচনা করা হয়। একজন নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি এই সময়ের মধ্যে দেশটির নেতৃত্ব দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ১৯৮৯ সালে ইরানের সংবিধান সংশোধন করে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন করা হয়েছিল।
এর আগে একটি বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুলাহিয়ানিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি রবিবার পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের একটি ঘন জঙ্গলে বিধ্বস্ত হয়। হেলিকপ্টারের যাত্রীদের মধ্যে প্রেসিডেন্ট রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহিয়ান, ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি এবং পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের ইসলামী বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম এবং আরও অনেকে ছিলেন। রাষ্ট্রপতি রাইসি রবিবার ভোরে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে যান, যেখানে তিনি আজারবাইজানের রাষ্ট্রপতি ইলহাম আলিয়েভের সাথে একটি বাঁধ উদ্বোধন করেন। কর্মসূচী থেকে ফেরার সময় ঘন কুয়াশার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে।