জ্বালানির দাম বৃদ্ধিতে মানুষের অসুবিধার কথা স্বীকার করে নেন পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী
জ্বালানির দাম বৃদ্ধিতে মানুষের অসুবিধার কথা এদিন স্বীকার করে নেন পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, অসুবিধা যে হচ্ছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু ৩৫ হাজার কোটি টাকা একবছরে খরচ করা হচ্ছে করোনার ভ্যাকসিনের জন্য। এক লক্ষ কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনায়। গরিমদের আটমাসের রেশন দেওয়া হচ্ছে। পিএম কিষাণ প্রকল্পে কয়েক হাজার কোটি টাকা কৃষকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি দেওয়া হয়েছে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে কল্যাণমূলক প্রকল্পের জন্য অর্থ সঞ্চয় করা হচ্ছে।
বিরোধীদলগুলি বিশেষ করে কংগ্রেস জ্বালানির দামবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করছে। এব্যাপারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, যদি সাধারণ মানুষের ওপরে বোঝা নিয়ে তারা এতটাই সতর্ক হন তাহলে রাজস্থান ও মহারাষ্ট্রে তাঁদের সরকার জ্বালানির ওপরে বিক্রয় কর যেন হ্রাস করে দেয়। রাহুল গান্ধীর ক্রমাগত আক্রমণ প্রসঙ্গে তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, কেন কংগ্রেস শাসিত পঞ্জাব, মহারাষ্ট্র এবং রাজস্থানে জ্বালানির দাম বেশি, তার জবাব দিতে হবে তাঁকে। যদি রাহুল গান্ধী গরিবদের নিয়ে এতটাই সচেতন হন, তাহলে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি যেন বিক্রয় কর কমাতে নির্দেশ দেন। কেননা মুম্বইতে বিক্রয় কর অন্য মেট্রো শহরগুলোর তুলনায় বেশি। যদিও এব্যাপারে মন্ত্রী বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশ এবং কর্নাটকের নাম উল্লেখ করেননি। এই দুই রাজ্যেও পেট্রোলের দাম লিটার পিছু ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে।
বিভিন্ন রাজ্যে জ্বালানির মূল্য বিভিন্ন। কেননা রাজ্যগুলিতে বিক্রয় কর বিভিন্ন। যেই কারণে সাতটি রাজ্যে পেট্রোলের মূল্য ইতিমধ্যেই লিটার পিছু ১০০ টাকা পেরিয়ে গিয়েছে। রাজ্যগুলি হল রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্নাটক এবং লাদাখ। এর মধ্যে কংগ্রেস ক্ষমতায় রয়েছে রাজস্থান। শিবসেনার সঙ্গে সরকার চালাচ্ছে মহারাষ্ট্রে। অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশ এবং কর্নাটকে রয়েছে বিজেপির সরকার। লাদাখে রয়েছে কেন্দ্রের শাসন। অন্যদিকে অন্ধ্রপ্রদেশে ক্ষমতায় রয়েছে ওয়াইএসআর কংগ্রেস এবং তেলেঙ্গানায় রয়েছে টিআরএস।