অনুষ্ঠানের আগে থেকেই জন সমাবেশ কলকাতায়।
প্রস্তুতি একেবারে শেষের মুখে। ধর্মতলায় মঞ্চ বাঁধার কাজ শেষের মুখে। অনুষ্ঠানের দু’দিন আগে থেকেই জন সমাবেশ খাস কলকাতায়। একদিকে মঞ্চ বাঁধার কাজ, অন্য দিকে বাইরের জেলা থেকে আগত কর্মী সমর্থকদের দেখভাল। সব মিলিয়ে তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের ব্যস্ততা তুঙ্গে।শেষ মুহূর্তের প্রচারের জন্য তৃণমূলের তাস অকেজো ট্রাম। প্রায় বছর দুইয়ের বেশি সময় অকেজো পড়েছিল টালিগঞ্জ-বালিগঞ্জ রুটের ২২৩ নম্বর ট্রাম। সেই ট্রামকে নতুন রূপে সাজিয়ে রাস্তায় নামানো হয়েছে। শাসক দলের প্রচারের জন্য ওই ট্রাম রাস্তায় নামলেও তাতে চড়তে পারবেন সাধারোন মানুষও।
ধর্মতলায় দু’বছর পরে মঞ্চে উঠে বক্তৃতা রাখবেন মমতা ব্যানার্জি। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা কড়াকড়ি করা হচ্ছে। তাঁর প্রবেশের জন্য থাকবে আলাদা গেট। যে রাস্তা দিয়ে তিনি কালীঘাট থেকে ধর্মতলায় যাবেন, সেখানেও থাকবে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মমতা ব্যানার্জি যেখানে বসবেন তার পাশেই থাকবে সাংসদ-বিধায়কদের সঙ্গেই আমন্ত্রিতদের বসার জায়গা। মূল মঞ্চের ঠিক পিছনেই চ্যানেল করা হয়েছে গার্ডরেল দিয়ে। মঞ্চের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশ। ভিক্টোরিয়া হাউসে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। যানজট এড়াতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ২১ তারিখের জন্য কলকাতার একাধিক রাস্তাকে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত ওয়ান ওয়ে হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
শহিদ দিবসে রাজ্যের সব জেলা থেকেই তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা হাজির হন কলকাতায়। এবারেও তার অন্যথা হয়নি। হাতে মেরেকেটে এখনও দিন দুই থাকলেও ইতিমধ্যে রাজ্যের একাধিক জেলা থেকে কর্মী সমর্থকরা এসেছেন কলকাতায়। গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, সেন্ট্রাল পার্কে কর্মী সমর্থকদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আজ দুপুরেই তাঁদের পাতে পড়েছে ভাত, ডাল, আলু চোখা, ডিমের ঝোল। তাঁদের কেউ কেউ প্রথমবার কলকাতা এসেছেন। সূত্রের খবর, আজও পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে যাবেন খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেউ কেউ এসেছেন দলনেত্রীর বক্তৃতা শুনতে। সব মিলিয়ে কর্মী-সমর্থকদের উন্মাদনা, আর নেতা-নেত্রীদের ব্যস্ততা নিয়ে তৃণমূলের অপেক্ষা ২১ জুলাইয়ের।