নতুন পদ্ধতি চালু হলে যাঁর রেশন তাঁকেই তুলতে হবে, এমনটাই জানালেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরও ‘এক দেশ – এক রেশন কার্ড’ চালু নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি রাজ্য সরকার। তবে নতুন পদ্ধতি চালু হলে যাঁর রেশন তাঁকেই তুলতে হবে। এমনটাই জানালেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। রবিবার তিনি বলেন, সোমবার এই নিয়ে বৈঠক রয়েছে। সেখানে এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী।
গত শুক্রবার গুরুত্বপূর্ণ এক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, অবিলম্বে এক দেশ এক রেশন কার্ড চালু করতে হবে পশ্চিমবঙ্গকে। এব্যাপারে কোনও বাহানা শুনবে না তারা। রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ কল্যাণকর এই প্রকল্প।
রবিবার এই নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, ‘আমরা এখনো সুপ্রিম কোর্টের রায় পুরো পড়ে দেখিনি। সুপ্রিম কোর্টের রায় খতিয়ে দেখে এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবারের বৈঠকে এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।’
তিনি জানান, ‘রাজ্যে ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে নতুন রেশন কার্ড ব্যবহারের জন্য দরকারি যন্ত্র পৌঁছে গিয়েছে রেশন ডিলারদের কাছে। তবে সেই যন্ত্রের ব্যবহার শুরু হলে অন্য কেউ রেশন তুলতে পারবে না।’
খাদ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি এক দেশ এক রেশন কার্ড প্রকল্পের উপকারিতা নিজেই স্বীকার করে নিলেন না রথীনবাবু? তাহলে কেন এতদিন এব্যাপারে তৎপর হননি তাঁরা? নিজের রেশন নিজে তুললে রেশন চুরি বন্ধ হবে। তাতে কী আপত্তি থাকতে পারে রাজ্য সরকারের? সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরও কেন তাঁরা এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে গড়িমসি করছেন?