+91 9330828434 +91 9804424251 banglalivenews@gmail.com

অন্য দলের সঙ্গে আঁতাত স্পষ্ট, কটাক্ষ কল্যাণের, জবাব দিলেন ক্ষুব্ধ শুভেন্দুও

নিজস্ব সংবাদদাতা - November 20, 2020 11:37 pm - রাজ্য

অন্য দলের সঙ্গে আঁতাত স্পষ্ট, কটাক্ষ কল্যাণের, জবাব দিলেন ক্ষুব্ধ শুভেন্দুও

দিন কয়েক আগেই শুভেন্দুকে আক্রমণ করে কল্যাণ বলেছিলেন, ‘‌৪টি মন্ত্রিত্ব পেয়েছিস, ৪টে চেয়ারে আছিস। কত পেট্রোল পাম্প করেছিস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে পুরসভার বাইরে আলু বিক্রি করতিস।’‌ নন্দীগ্রাম দিবসের দু’‌দিন পরে এক সভায় কল্যাণ কটাক্ষ করেন, ‘‌হিম্মত থাকে তো ছেড়ে দিয়ে চলে যাও। ৪৮ ঘণ্টা বিপ্লব দেখানোর পর এখনও মন্ত্রীত্বের লোভ কেন?‌ এখনও বোধহয় জানানো হয়নি মুখ্যমন্ত্রী হবে নাকি উপ মুখ্যমন্ত্রী হবে?‌’‌

কোনও জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে অশালীন ভাষায় ব্যক্তিগত আক্রমণ কাম্য নয়— শুক্রবার হুগলির বলাগড়ে একটি জনসভা থেকে নাম না করে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে এভাবেই জবাব দিলেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

শুক্রবার সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাল্টা দিলেন শুভেন্দু। সভায় তিনি কারও নাম না করে বলেন, ‘‌প্রাক্তন সাংসদ অনিল বসু যখন কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে অশালীন কথা বলতেন তখন কিন্তু হুগলির মানুষ তা সমর্থন করেননি। আজ যদি কোনও বর্তমান জনপ্রতিনিধিও আমাকে বা আমার পরিবারকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে। আপনারা কি তাঁকে সমর্থন করবেন? আপনারা কি এই কালচার সমর্থন করেন?‌’ সভায় উপস্থিত জনগণের কাছ থেকে সমস্বরে উত্তর আসে, ‘‌না’‌।

এদিকে, এর প্রতিক্রিয়ায় এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‌বাবা কোনও রাজনৈতিক দলের পদাধিকারী— এই সুযোগ নিয়ে কিন্তু আমি রাজনীতিতে আসিনি। আমি কিন্তু বড় হয়েছি অনেক পরিশ্রম করে। আমি যদি নন্দীগ্রামে সিবিআইয়ের অর্ডার না করাতাম তবে রাজনৈতিক নেতারা ঘর থেকে বেরোতে পারত না। ওই অর্ডার হওয়ার পরই সব ঘর থেকে বেরিয়েছিল। এগুলো মনে রাখতে হবে। একার দ্বারা কোনওদিন কিছু হয় না। আর দলে থেকে দলের কোনও জনপ্রতিনিধিকে যদি সমালোচনা করে তবে বুঝতে হবে যে অন্য দলের সঙ্গে তাঁর আঁতাত অনেকটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।’‌

যদিও শুভেন্দু শুক্রবার বলাগড়ের মঞ্চে পরিষ্কার জানিয়েছেন, ‘‌রাজনৈতিক সমালোচনা তো হবেই, সমালোচনার উর্ধ্বে কেউ নই। কিন্তু ব্যক্তিগত আক্রমণ মেনে নেওয়া যায় না।’‌ এ ব্যাপারে কল্যাণের জবাব, ‘একটা সময় ওখানে দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা ছিলেন লক্ষ্মণ শেঠ। তাঁরও অহঙ্কার ছিল। কিন্তু সেই অহঙ্কারই তাঁকে শেষ ররে দিয়েছে।’‌ শুক্রবার এভাবেই একে–অপরকে আক্রমণ করে তরজা বজায় রাখলেন শাসকদলের দুই নেতা।


আরও পড়ুন:

Follow Bangla Live on Facebook

Follow Bangla Live on YouTube