কাঁকুড়গাছি যুবক বৃন্দ
বিশ্বাসে মিলায়ে দুর্গা
দু’মাস আগেও আমরা জানতাম না যে আদৌ দূর্গা পুজো হবে কিনা। পুজো করতে পারবো কিনা। একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে দিয়ে আমরা সবাই চলছিলাম, একটা স্তব্ধতা, একটা আবদ্ধতা আমাদের গ্রাস করছিল ক্রমশ। মনে ভরসা ছিল নতুন সূর্য উঠবেই, বিশ্বাস ছিল পৃথিবীর চাকা এভাবে চিরকাল থমকে থাকতে পারে না, পরিস্থিতি পরিবর্তনশীল, বিশ্বাস ছিল ঘরের উমা ঘরে ফিরবেই, বিশ্বাস ছিল ধরিত্রী আবার শান্ত হবেই। মুছে দিয়ে সব গ্লানি শারদ প্রভাতে ঘরের উঠোনে আলপনা পড়বে। রেডিওতে আবার বেজে উঠবে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মহালয়ার সুমধুর স্ত্রোত্র। অবশ্য এখনো যে খুব একটা নিশ্চিন্ত হয়েছি তা বলা চলে না। অনেকটাই অনিশ্চয়তার মধ্যে দিয়ে চলছি। কিন্তু এটা নিশ্চিত হয়েছি যে, পুজো হবে। প্রতি বছরের ন্যায় অত আড়ম্বরপূর্ণ না হলেও, হবে। এই আশায় কোমর বেঁধে আমরা আবার সামিল হয়েছি। আজ শারদ প্রাতে জানালা খুলে দিয়েছি। নতুন সূর্যের আলোয় দিগ্বিদিক উদ্ভাসিত। শোনা যাচ্ছে ঢাকের বাদ্যি। শামিয়ানার নিচে বিরাজমান মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দশভুজা। যে পরম্পরাকে এতদিন ধরে ঐতিহ্যবাহী সিঁড়ি বেয়ে প্রজন্মের পর প্রজন্ম হাতে হাত ধরে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলাম, তা ম্লান হতে দিইনি আমরা। প্রাণের চালচিত্রে ইষ্ট দেবীকে সযত্নে বসিয়েছি। গত বছর বিসর্জনের সময় চোখের জলে ভেসে মাকে বলেছিলাম, আবার আসিস মা, আসছে বছর আবার তোকে মা সাজাবো যতনে। সে কথার খেলাপ হয়নি। কথা রেখেছি।