অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন রাজ্য প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি।
আরজি করে ঘটে যাওয়া ধর্ষণ ও নারকীয় হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। এই আন্দোলনে সামিল হয়েছেন সমাজের নানা আর্থ সামাজিক স্তরের, নানা শ্রেণির, নানা পেশার মানুষ। সেই নিয়েই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি থেকে শুরু করে গোটা দেশ। এরই মাঝে অনির্দিষ্ট কালের জন্য কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন রাজ্য প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি। সংগঠনের পূর্ব বর্ধমান জেলার সভাপতি উত্তম পাল বলেন, সোমবার থেকে তাঁরা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন।
এর আগে আলু রফতানি নিয়ে পুলিশের বাধার অভিযোগ তুলে ২০ জুলাই রাজ্যজুড়ে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি। এমনকী পাঁচদিন টানা সেই কর্মবিরতি চলেছিল। যার জেরে রাজ্যের বাজারগুলিতে তখন আলুর সংকট তৈরি হয়। বাজার চড়া দামে বিক্রি হয় আলু।
জেলা সভাপতি উত্তম পাল বলেন, ‘গত ২৪ জুলাই হরিপালে মন্ত্রী বেচারাম মান্নার সঙ্গে বৈঠক হয়। সেখানে তিনি বলেন, দুচারদিনের মধ্যে আপনাদের সমস্যার সমাধান করা হবে।তারপর গত ৮ আগষ্ট ফের মন্ত্রী বেচারাম মান্না ও প্রদীপ মজুমদারের সঙ্গে আলু ব্যবসায়ীদের মিটিং হয়।সেখানে প্রদীপবাবু বলেন আলুর দাম খোলা বাজারে কেজিতে ২৫ টাকার বেশী নেওয়া হবে না।এই দাম পূর্ব বর্ধমান, হুগলি ও হাওড়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আর বাঁকুড়া, মেদিনীপুর জেলায় যেহেতু আলুর গুণগত মান খারাপ তাই ওই জেলায় আলুর দাম কেজি প্রতি ২৩ টাকায় বিক্রি করতে হবে’।