করোনার দাপট রুখতে তৎপর হল কলকাতা পুলিশ, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশও পিছিয়ে নেই
করোনার দাপট রুখতে তৎপর হল কলকাতা পুলিশ। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশও পিছিয়ে নেই। তারাও করোনাা সচেতনতা প্রচার চালাচ্ছে। এদিকে কলকাতা শহরে মাস্ক বিহীনদের ধরপাকড় শুরু হোল। একই সঙ্গে শহরের প্রত্যেকটি বাজারে প্রচার শুরু করেছে পুলিশ। মাইক নিয়ে করোনা সম্পর্কে সতর্কতা প্রচার শুরু হয়েছে জায়গায় জায়গায়। মাস্ক না পরায় একদিনে ধরা পড়লেন ১৬৭ জন।
বুধবার কলকাতার বিভিন্ন এলাকা থেকে মাস্ক না পরার অভিযোগে ১৫০ জনেরও বেশি পথচারীকে ধরে পুলিশ। এর মধ্যে থেকে ১৫ জন হাতেনাতে ধরা পড়েছেন নিউ মার্কেট এলাকা থেকে। অন্যান্য বাজারেও যারা মাস্ক পরছেন না তাঁদের ধরছে পুলিশ। পুলিশের অভিযোগ,
শহরে করোনার সংক্রমণ উত্তরোত্তর বাড়ছে, তার সত্ত্বেও বহু সংখ্যক পথচারী, বাইক আরোহী, গাড়ি সওয়ারি ও বাস যাত্রীদের মুখে মাস্ক নেই। শুধু তাই নয়, শহরের অধিকাংশ বাজারগুলোরও অবস্থা আরও শোচনীয়। কারণ, গিজগিজে ভিড় থাকার সত্ত্বেও না ক্রেতা, আর না বিক্রেতা কারও মুখে মাস্ক নেই।
লালবাজারের নির্দেশে মাইক নিয়ে কলকাতার প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ বাজারে প্রচার শুরু হয়েছে। দুপুর থেকেই শহরের প্রতিটি বাজারে করোনা বিরোধী সচেতনতার প্রচার শুরু করে প্রায় সব থানা। পুলিশের অভিযোগ, এই বছর এখনও পর্যন্ত বেশিরভাগ মানুষই করোনা নিয়ে সচেতন নন। তাই বাজারগুলিতে আসা বেশিরভাগ ক্রেতা, এমনকী, বিক্রেতাদের মুখেও মাস্ক নেই। পারস্পরিক দূরত্বও মানা হচ্ছে না। এদিন নিউ মার্কেট অঞ্চলে মাস্ক না পরে নামতে দেখলেই ওই যাত্রীকে ধরেছে পুলিশ। একই দৃশ্য দেখা গিয়েছে গড়িয়াহাট, যদুবাবুর বাজার, যাদবপুর, হাতিবাগানের মতো বাজারগুলিতেও। এছাড়াও ওই বাজারগুলিতে মাস্ক না পরে কেনাকাটা করার অভিযোগেও পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে বেশ কয়েকজন।বড়বাজারের অন্তত পাঁচটি এলাকা, পোস্তা, গড়িয়াহাট, নিউ মার্কেট, ভবানীপুর, উত্তরের হাতিবাগান, মানিকতলা বাজারে লাগাতার প্রচার শুরু হয়েছে। কোথাও-বা করোনা নিয়ে সচেতনতার প্রচারের জন্য তৈরি হয়েছে ক্যাম্প। বাজারের ক্রেতা ও বিক্রেতাদের বলা হচ্ছে, তাঁরা যেন অবশ্যই মাস্ক পরেন। যেন তাঁরা স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখেন। সবাইকে পারস্পরিক দূরত্ব মেনে চলতে বলা হয়।
লালবাজারের এক আধিকারিক জানান, গত বছর থেকে শুরু করে প্রত্যেক দিন মাস্ক না পরার জন্য কলকাতায় ধরপাকড় হয়। সোমবারও ১৩৩ জন, মঙ্গলবার ১৫৭ জনকে ধরা হয়েছিল। ধৃতদের বিরুদ্ধে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টে মামলা করা হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে ধৃতদের থানায় নিয়ে গিয়ে কয়েক ঘণ্টা বসিয়েও রাখা হচ্ছে। তবে ধরপাকড়ের সঙ্গে সঙ্গে মাস্ক বিলি করার ব্যাপারেও পুলিশ গুরুত্ব দিচ্ছে। তাই যেখানে যেখানে প্রচার হয়েছে, সেখানেই পুলিশ মাস্ক বিলি করেছে।