+91 9330828434 +91 9804424251 banglalivenews@gmail.com

কার্তিক মহারাজ আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, কি বলছেন মমতা !

নিজস্ব সংবাদদাতা - May 21, 2024 1:36 am - রাজ্য

কার্তিক মহারাজ আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, কি বলছেন মমতা !

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সংঘ ও ইস্কনের সাধু-সন্তদের সম্পর্কে আপত্তিকর কথা বলেন বলে অভিযোগ।

তারই মধ্যে ভারত সেবাশ্রম সংঘের মুর্শিদাবাদের আশ্রমের সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজ আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

এরপরই ওন্দার জনসভা থেকে গর্জে উঠলেন মমতা।

কার্তিক দাবি করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সম্পর্কে যে অভিযোগগুলি করেছেন তা প্রমাণ করতে পারলে তিনি মাথা পেতে শাস্তির জন্য প্রস্তুত। আর প্রমাণ না করতে পারলে চারদিনের মধ্যে ক্ষমা চাইতে হবে মমতাকে। যদিও সেই পথে হাঁটছেন না মমতা।

এদিন ওন্দায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে মমতা বলেন, আমি বলেছি দু-একজনের কথা। গঙ্গাসাগরে ভারত সেবাশ্রম সংঘের অফিস, আশ্রম আছে। ওঁরা ভালো, আমাকে ভালোবাসেন, মানুষের কাজ করেন। আমি একটি লোকের নাম করে বলেছিলাম। তিনি হলেন কার্তিক মহারাজ।

মমতার কথায়, কার্তিক মহারাজ তৃণমূলের এজেন্ট বসতে দেননি। ভোটের ২ দিন আগে মুর্শিদাবাদে দাঙ্গার হোতা ছিলেন উনি। সেই জন্য বলেছিলাম, বলে যাব। আগে অধীর করতেন, এখন বিজেপি করেন। মুর্শিদাবাদে যে জায়গায় রেজিনগরে ভোটের ২ দিন আগে দাঙ্গা হয়েছিল সেখানে উনি আশ্রম চালান। আশ্রম চালানোয় আপত্তি নেই।

মমতা আরও বলেন, ওখানে তৃণমূলের এজেন্ট নেই কেন জানতে চেয়েছিলাম। শুনলাম কার্তিক মহারাজ হুমকি দিয়েছেন তৃণমূলের এজেন্টকে বসতে দেবেন না। ছানার ব্যবসায়ীদের খেপিয়েছেন। খবর আমিও রাখি। এলাকায় এলাকায় গিয়ে ধর্মের নামে বিজেপি করে বেড়ান, তা করুন। কিন্তু বিজেপির চিহ্ন বুকে লাগিয়ে রেখে করুন, লুকিয়ে লুকিয়ে কেন?

মমতা বলেন, আমি প্রমাণ ছাড়া কোনও কথা বলি না। আমাদের রাজ্য বাংলা, সেখানে তৃণমূলের এজেন্ট বসতে দেবে না! দাঙ্গা করলে ছেড়ে দেব? ছেড়ে দেওয়া উচিত? মন্দির, মসদিজ, জাহের থান, মাঝি থান ভাঙলে ছেড়ে দেওয়া উচিত?

জয়রামবাটী, কামারপুকুরের উন্নয়ন থেকে দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াক, বেলুড় মঠে জেটি তৈরি-সহ নানা কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন মমতা। তিনি বলেন, স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ি বিক্রি হয়ে যাচ্ছিল। এক রাতের মধ্যে কর্পোরেশন থেকে কিনে নিই। ফলে স্বামী বিবেকানন্দর বাড়ি চিরকাল থাকবে। সিস্টার নিবেদিতার বাড়ি আমি কিনে দিয়েছিলাম। তিনি দেহত্যাগ করেছিলেন দার্জিলিংয়ে। নতুন সরকারি বিল্ডিং দিয়ে সেটি আদায় করে বাড়িটি তাঁর স্মৃতি হিসেবে রাখার বন্দোবস্ত করেছি। রামকৃষ্ণ মিশন একটি প্রতিষ্ঠান, আমি তার বিরুদ্ধে নই। অসম্মান কেন করব? আমি তো অসুস্থ মহরাজকে দেখতেও গিয়েছিলাম।


আরও পড়ুন:

Follow Bangla Live on Facebook

Follow Bangla Live on YouTube