কেন্দ্রের তরফে শুরু করা হয়েছে “হর ঘর দস্তক” নামে এক নতুন কর্মসূচি
১০০ কোটির টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে গত মাসেই। সামনে রয়েছে আরও বড় লক্ষ্য- বছরের শেষভাগের মধ্যেই দেশের সমস্ত প্রাপ্তবয়স্কদের করোনা টিকা দিতে হবে। এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণেই কেন্দ্রের তরফে শুরু করা হয়েছে “হর ঘর দস্তক” নামে এক নতুন কর্মসূচির। এই কর্মসূচির অধীনে প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে টিকাকরণ নিয়ে সচেতনতা ও টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই নতুন কর্মসূচিকে আরও সফল করতে বৃহস্পতিবারই সমস্ত রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য।
টিকাকরণে গতি আনতে গত ৩ নভেম্বর ১২টি রাজ্যের ৪৫টি জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যকর্মীদেকর অক্লান্ত পরিশ্রমকে সাধুবাদ জানিয়েছিলেন। একইসঙ্গে সতর্ক করেছিলেন, টিকাকরণের কাজে যেন কোনওভাবে ঢিলেমি না আসে। তিনি বলেছিলেন, “দেশের ১০০ কোটি টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মী, আশাকর্মী সহযোগিতাতেই। কিন্তু ১০০ কোটি টিকাকরণের পর যদি গতি মন্থর হয়ে যায়, তবে নতুন সমস্যা দেখা দেবে।”
প্রধানমন্ত্রীর ওই বৈঠকের সূত্র ধরেই আজকের বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভার্চুয়াল মাধ্যমে সমস্ত রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলবেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। কোন রাজ্যে টিকাকরণের কী হাল, কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা, তা জানার চেষ্টা করবেন তিনি। একইসঙ্গে কেন্দ্রের তরফে এক মাসব্যাপী যে বাড়ি বাড়ি টিকাকরণ কর্মসূচির সূচনা করা হয়েছে, তার কাজ কতদূর এগিয়েছে, তা নিয়েও যাবতীয় তথ্যের খতিয়ান নেবেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, দেশে এখনও অবধি ১০৯ কোটি করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে “হর ঘর দস্তক” নামক যে বিশাল টিকাকরণ কর্মসূচির সূচনা করা হয়েছে, তার অধীনে স্বাস্থ্যকর্মীরা বর্তমানে প্রতিটি পাড়ায়, প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছেন সচেতনতা বৃদ্ধি ও টিকাকরণের জন্য।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, এখনও অবধি দেশের মোট জনসংখ্যার ৭৯.২ শতাংশ মানুষ করোনা টিকার কমপক্ষে একটি ডোজ় পেয়েছেন। দেশের ৩৭ শতাংশ জনগণ টিকার দুটি ডোজ়ই পেয়ে গিয়েছেন। যে পাঁচটি রাজ্যে সর্বাধিক সংখ্যক টিকা দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে উত্তর প্রদেশ। এরপরই রয়েছে মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাট ও মধ্য প্রদেশ।