১ মে থেকে ১৮ বছরের উর্ধ্বে সকলকে করোনাভাইরাসের টিকা প্রদান করা হবে, খোলাবাজারেও পাওয়া যাবে টিকা
সেকেন্ড ওয়েভে কমবয়স্করা বেশি করোনায় আক্রান্তে হচ্ছেন বলে ধারণা বিশেষজ্ঞ। সেই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের তরফে জানানো হল, ১৮ বছরের উর্ধ্বে সকলকে করোনাভাইরাসের টিকা প্রদান করা হবে। আগামী ১ মে থেকে তৃতীয় দফার টিকাকরণ থেকেই সেই নিয়ম চালু হবে বলে জানানো হয়েছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে একটি উচ্চপর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে মোদী দাবি করেন, ন্যূনতম সময় যাতে সর্বাধিক ভারতীয়ের কাছে করোনা টিকা পৌঁছে দেওয়া হয়, সেজন্য গত এক বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম করছে সরকার। সঙ্গে তিনি দাবি করেন, রেকর্ড গতিতে টিকাকরণ চালাচ্ছে ভারত। আগামিদিনে সেই টিকাকরণের গতি আরও বাড়ানো হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
সেই বৈঠকের পর তৃতীয় দফায় ‘উদারীকরণ এবং ত্বরান্বিত’ টিকাকরণ প্রক্রিয়ার জন্য নয়া কৌশলের ঘোষণা করে কেন্দ্র। যে প্রক্রিয়া আগামী ১ মে থেকে শুরু হবে। সেই দফায় সকল প্রাপ্তবয়স্কদের টিকা দেওয়া হবে। গত ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশে করোনার টিকাকরণ শুরুর পর প্রাথমিকভাবে করোনা যোদ্ধাদের টিকা প্রদান করা হচ্ছিল। তারপর ধাপে ধাপে টিকাকরণের সীমা আরও বাড়ানো হয়। সেভাবে আপাতত ৪৫ বছর এবং তার উর্ধ্বে সকলকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবে উর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণের জেরে সেই বয়সসীমা তুলে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে আসছিলেন বিরোধীরা।
বিশেষত বিশেষজ্ঞদের মতে, সেকেন্ড ওয়েভ বা দ্বিতীয় ঢেউয়ে অধিক সংখ্যক কমবয়স্করা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। সম্প্রতি দিল্লির একটি ল্যাবের প্রতিষ্ঠাতা এবং অধিকর্তা সংবাদসংস্থাকে বলেন, ‘বয়স্কদের তুলনায় অনেক বেশি কমবয়স্করা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এবার উপসর্গগুলি আলাদা হচ্ছে। অনেকেই শুকনো মুখ, গ্যাসের সমস্যা, বমি বমি ভাব, আমাশা, লাল চোখ এবং মাথাব্যথার মতো সমস্যায় পড়ছেন অনেকে।’ সেই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের দাবি মেনে পুরো বয়সসীমা তুলে না দেওয়া হলেও প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণ শুরুর পথে হেঁটেছে কেন্দ্রে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই সিদ্ধান্তের ফলে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা টিকা পাবেন। ফলে কাজের স্বার্থে তাঁদের বাড়ির বাইরে যেতে হলেও সংক্রমণের আশঙ্কা কমবে। সেক্ষেত্রে সার্বিকভাবে দেশে সংক্রমণের গ্রাফও কিছুটা নিম্নমুখী হবে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।