একের পর এক গার্ডরেল কার্যত উপড়ে ফেলেন জনতা।
কারোর হাতে প্ল্যাকার্ড। লেখা ‘মুখ্য়মন্ত্রীর পদত্যাগ’। কেউ আবার ব্যানারে লিখেছেন, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। কারও হাতে জাতীয় পতাকা। সেই পতাকা নিয়েই এগিয়ে চলেছে সুবিশাল মিছিল। কলেজ স্কোয়্যার থেকে মিছিল শুরু হয়ে ক্রমেই তা এগিয়ে চলেছে নবান্নের দিকে।
এ দিকে, সাঁতরাগাছির কাছে যেতেই ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা আন্দোলনকারীদের। দেখা যায়, একদিকে পুলিশ ব্যারিকেড রক্ষার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে, আন্দোলনকারীরা সেই ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করছেন। তারই মধ্যে দেখা গেল ভিন্ন ছবি। ব্যারিকেড টলিয়ে দিতে দিতে আচমকা পুলিশের উদ্দেশ্যে হাতে থাকা ব্যানার ছোড়া শুরু করেন আন্দোলনকারীরা।
শুধু তাই নয়, একের পর এক গার্ডরেল কার্যত উপড়ে ফেলেন জনতা। জাতীয় পতাকা ওড়াতে শুরু করেন তাঁরা। অপরদিকে পুলিশও আন্দোলনকারীদের কার্যত বোঝাতে থাকে। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এর পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদে জড়ায় পুলিশ। এ দিকে, গার্ডরেল ভেঙে ফেলতেই ময়দানে নামে পুলিশের র্যাফ। ছোড়া হয় জলকামান। আর পুলিশের বাহিনী এগিয়ে যেতেই পিছু হটতে শুরু করে আন্দোলনকারীরা। তবে শুধু সাঁতরাগাছি নয়, হাওড়া ব্রিজের উপরে থাকা গার্ডরেলও সরিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন আন্দোলনকারীরা।