+91 9330828434 +91 9804424251 banglalivenews@gmail.com

নন্দীগ্রাম আন্দোলনকে ‘কুটিল চিত্রনাট্য’ : বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

নিজস্ব সংবাদদাতা - March 30, 2021 9:18 am - রাজ্য

নন্দীগ্রাম আন্দোলনকে ‘কুটিল চিত্রনাট্য’ : বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

রাজ্যে ভোটের উত্তাপে যখন নতুন করে ফুটতে শুরু করেছে নন্দীগ্রামে গুলি চালানোর প্রসঙ্গ তখন বিবৃতি জারি করলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনকে ‘কুটিল চিত্রনাট্য’ অখ্যা দিলেন তিনি। সঙ্গে নানা ইস্যুতে একযোগে সমালোচনা করলেন তৃণমূল ও বিজেপির।

রবিবার নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ায় এক সভায় ১৪ মার্চের গুলিচালনার জন্য অধিকারী পরিবারকে কাঠগড়ায় তোলেন মমতা। বলেন, ‘বাপ-ব্যাটার অনুমতি ছাড়া পুলিশ ঢুকতে পারত কি?’ চটিপরা পুলিশও অধিকারীদেরই পাঠানো বলে ইঙ্গিত করেন তিনি।

সোমবার বিকেলে সিপিআইএম রাজ্য কমিটির তরফে জারি এক বিবৃতিতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য কারও নাম না করলেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ১৪ বছর পরেও নিজের অবস্থানে অনড় রয়েছেন তিনি।

এদিন বুদ্ধবাবু লিখেছেন, ‘…নন্দীগ্রাম ও সিঙ্গুরে এখন শ্মশানের নীরবতা। সেসময়ের কুটিল চিত্রনাট্যের চক্রান্তকারীরা আজ দুভাগে বিভক্ত হয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে কাদা ছোঁড়াছুড়ি করছে। কর্মসংস্থানের সুযোগ হারিয়েছেন বাংলার যুব সমাজ।’একই সঙ্গে সংযুক্ত মোর্চা রাজ্যের পরিস্থিতির পরিবর্তন করতে পারবে বলে দাবি করে তাদের প্রার্থীদের জয়ী করার আহ্বান জানিয়েছেন বুদ্ধবাবু।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বিবৃতি।

২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে গুলিচালনার পিছনে চক্রান্ত রয়েছে বলে তখনই জানিয়েছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। নন্দীগ্রামে মানুষের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। তবে তৃণমূলের দাবি ছিল বুদ্ধবাবুর নির্দেশেই নন্দীগ্রামে গুলি চালিয়েছে পুলিশ। সেই আন্দোলনের ওপর দাঁড়িয়ে ২০০৯ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন ও ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় তৃণমূল। অবসান ঘটে ৩৪ বছরের বাম শাসনের।


আরও পড়ুন:

Follow Bangla Live on Facebook

Follow Bangla Live on YouTube