দেশের সবথেকে বড় ‘তোলাবাজ’ হলেন নরেন্দ্র মোদী: মমতা
তোলাবাজি ও সিন্ডিকেট নিয়ে বিজেপির আক্রমণের পালটা হিসেবে শিলিগুড়ির মিছিল শেষে অভিযোগ করলেন, দেশের সবথেকে বড় ‘তোলাবাজ’ হলেন নরেন্দ্র মোদী। আর দেশে শুধুমাত্র মোদী-অমিত শাহ সিন্ডিকেট চলে।
রবিবার মোদীর ব্রিগেডের সভার প্রায় একই সময় রান্নার গ্যাস এবং জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে দার্জিলিং মোড় থেকে হিলকার্ট রোড ধরে হাসমিচক (ভেনাস মোড়) পর্যন্ত মিছিল করেন মমতা। সঙ্গে ছিলেন সাংসদ নুসরত জাহান, মিমি চক্রবর্তী, দোলা সেন, গৌতম দেবরা। মিছিল শেষে কড়া ভাষায় মোদীকে আক্রমণ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বঙ্গে প্রচারের আসার আগে মোদীর কাছ থেকে কয়েকটি জবাবদিহিও চান। প্রশ্ন করেন, কেন রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ছে? তেলের দাম বাড়ছে কেন? ৯০০ টাকা দিয়ে কেন গ্যাস কিনতে হচ্ছে? মমতা বলেন, ‘বাংলায় বিনামূল্যে চাল দেওয়া হয়। আর ফোটাতে গেলে ৯০০ টাকা। নরেন্দ্র মোদী আপনার দাম কত টাকা, এবার জিজ্ঞাসা করুন।’
সেই সময় দক্ষিণবঙ্গ থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোলাবাজি এবং সিন্ডিকেটের অভিযোগ তুলেছিলেন মোদী। মমতা বলেন, ‘বাংলায় এসে শুধু বলেন তোলাবাজি। সবথেকে বড় তোলাবাজ তো আপনি। সেইল বিক্রিতে কত? একটা গরিব লোক তোলাবাজি করলে পাঁচ টাকা, ১০ টাকা, ৫০০ টাকা, আর আপনারা করলে আপনার আদানি বন্ধু, আপনারা করলে কত? রেল বিক্রি করলে কত তোলাবাজি হয়, সেইল বিক্রি করল কত? এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রি করল কত হয়? কোল ইন্ডিয়া বিক্রি করল কত হয়? উজ্জ্বলা গ্যাস, কোথায় গেল উজ্জ্বলা? ক্যাগের রিপোর্টেও বলা হয়েছে যে উজ্জ্বলায় দুর্নীতি হয়েছে। উজ্জ্বলায় আপনার লোকেরা সব খেয়ে নিয়েছেন। গরমিল করেছেন। শুধু তোলাবাজি করেননি, কোটি কোটি টাকা খেয়ে নিয়েছেন।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘সিন্ডিকেট! সিন্ডিকেট কী? ভারত শুধু একটাই সিন্ডিকেট জানে, সেটা হল নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ সিন্ডিকেট। এছাড়া আর কোনও সিন্ডিকেট নেই।’
এবারের বাজেটে মোদী সরকার বিভিন্ন রাষ্ট্রয়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণের প্রস্তাব দিয়েছে, তা নিয়েও সরব হয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘বাংলাকে সোনার বাংলা বানাব – দিল্লিকে তো বেচে দিয়েছেন। দিল্লির লালকেল্লা বেচে দিয়েছেন। ভারতীয় রেলওয়েকে বেচে দিয়েছেন। বিএসএনএলকে বেচে দিয়েছেন। কোল ইন্ডিয়াকে বেচে দিয়েছেন। প্রতিরক্ষাকে বেচে দিয়েছেন। এয়ার ইন্ডিয়াকে বেচে দিয়েছেন। আর কী পড়ে আছে! শুধু নিজের নামে ভারতের নাম পালটাতে হবে?’ সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের পরিবর্তে মোতেরার স্টেডিয়ামের নাম মোদীর নাম করা নিয়ে রীতিমতো ‘লজ্জিত’ বোধ করেন মমতা।