মোদি মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেন বাংলার ৪ সাংসদ।
দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর প্রথমবার মন্ত্রিসভার রদবদল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । বুধবার রাষ্ট্রপতি ভবনের দরবার হলে মোট ৪৩ জন হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। এদের মধ্যে ৭ জন আগে হয় প্রতিমন্ত্রী বা রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। তাঁদের পদোন্নতি হয়েছে। ৮ জন নতুন করে পূর্ণমন্ত্রী হলেন। বাকিরা একেবারে নতুন মুখ। এদের হয় প্রতিমন্ত্রী নয় রাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়েছে। মন্ত্রিত্ব পেলেন বাংলার চার সাংসদ- সুভাষ সরকার, নিশীথ প্রামাণিক, জন বার্লা ও শান্তনু ঠাকুর। তবে তাঁরা সকলেই প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেলেন। সুভাষ সরকার হলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। পাশাপাশি নিশীথ প্রামাণিক স্বরাষ্ট্র ও যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রক, জন বার্লা সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রক এবং শান্তনু ঠাকুর বন্দর জাহাজ চলাচল এবং জলপথ মন্ত্রকের দায়িত্ব পেলেন। এদিকে হর্ষ বর্ধনসরে দাঁড়ানোর পরে নতুন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হলেন মনসুখ মাণ্ডব্য। রাজ্যসভার সাংসদ গুজরাটের বাসিন্দা মনসুখ এর আগে প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। এবার করোনা কালে গুরুত্বপূর্ণ পদে আনা হল তাঁকে। বিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সভাপতি অনুরাগ ঠাকুর পেলেন ক্রীড়া মন্ত্রক ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের দায়িত্ব। দেশের নতুন শিক্ষামন্ত্রী হলেন ধর্মেন্দ্র প্রধান। পাশাপাশি দক্ষতা উন্নয়ন এবং উদ্যোক্তা মন্ত্রকের দায়িত্বও তাঁর উপরে। ওড়িশার দেওঘর লোকসভার সাংসদ ধর্মেন্দ্র ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি প্রথম শপথ নেওয়ার পর থেকেই তিনি পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী ছিলেন। ওড়িশার আরেক সাংসদ অশ্বিনী বৈষ্ণব হলেন নতুন রেলমন্ত্রী। বস্ত্রমন্ত্রী হলেন পীযূষ গোয়েল। সেই সঙ্গে বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের মতো একাধিক মন্ত্রকের দায়িত্বেও তিনি। আর বস্ত্রমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা স্মৃতি ইরানি কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী হলেন।