“শাহজাহানকে বাঁচাতে সন্দেশখালিতে মহিলাদের বদনাম করা হচ্ছে”- মোদী
বেশ কয়েকদিন আগে সন্দেশখালির কয়েকটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে লোকসভা ভোট চলাকালীন বিজেপির বিরুদ্ধে ময়দানে নেমেছে তৃণমূল। যদিও সেই ভিডিও ভুয়ো বলে দাবি করেছে গেরুয়া শিবির। পঞ্চম দফার ভোটের আগে পুরুলিয়ায় প্রচারে মোদীর বক্তব্যেও উঠে এল সেই ভিডিও প্রসঙ্গ। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “শাহজাহানকে বাঁচাতে সন্দেশখালির মহিলাদের বদনাম করছে তৃণমূল। তাঁদের চরিত্র নিয়ে আঙুল তুলছে। ওঁদের জন্য যে ভাষায় কথা বলছে, তার জবাব বাংলার সব মহিলা দেবেন। ভোটের মাধ্যমে জবাব দেবেন। তৃণমূলকে বরবাদ করবেন।”
আগামী ২৫ মে পুরুলিয়ায় ষষ্ঠ দফায় ভোট রয়েছে। রবিবার সেখানেই পুরুলিয়া বিধানসভার অন্তর্গত গ্যাঙাড়া হাইস্কুল সংলগ্ন মাঠে বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় মাহাতোর হয়ে প্রচারে আসেন মোদী।
চব্বিশের লোকসভা ভোটে আগাগোড়াই সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি। বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব তো বটেই বাংলায় প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ কেন্দ্রের প্রথম সারির সব বিজেপি নেতাদের বক্তব্যে উঠে এসেছে সন্দেশখালি প্রসঙ্গ।
এদিকে মে মাসের প্রথম দিকে সন্দেশখালির ঘটনা নতুন মোড় নিয়েছে। সেখানকার মহিলাদের একাংশের বক্তব্য, মিথ্যে অভিযোগে তাঁদের বদনাম করা হচ্ছে। সেই সুর টেনে এদিন মোদী বলেন, ”তৃণমূল মা, মাটি, মানুষের কথা বলে ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু বাংলার মহিলারা আর তৃণমূলকে ভরসা করেন না। সন্দেশখালিতে যে পাপ হয়েছে, তাতে পুরো বাংলার মহিলাদের ভাবাচ্ছে। সন্দেশখালির মহিলাদের বদলাম করছে তৃণমূল।”
শুধু সন্দেশখালি নয়, শাসকদলের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আক্রমণের অন্যতম ইস্যু রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতিও। লোকসভা ভোটের মাঝেই ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও সেই নির্দেশে আপাতত স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যা খানিকটা স্বস্তি দিয়েছে তৃণমূল সরকারকে। এদিন নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলকে খোঁচা দিয়ে মোদী বলেন, ”যে বাংলায় সরস্বতীর পুজো হয়, সেখানে তৃণমূল শিক্ষায় চুরি করে। শিক্ষক নিয়োগে হাজার হাজার যুবকের ভবিষ্যৎ বরবাদ করেছে। সকলকে ধারে ডুবিয়েছে। বাংলার গ্রামে আজ শিক্ষক নেই। বাচ্চাদের ভবিষ্যতও চুরি করেছে।”
রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ইস্যুতেও এদিন সরব হন মোদী। আগামী ৪ জুন ভোটের ফলের পর বাংলার দুর্নীতিবাজদের জেলের বাইরে থাকতে দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কটাক্ষের সুরে এদিন মোদী বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের বাড়ি থেকে যে টাকা মিলছে, তা জীবনে দেখিনি। দুর্নীতিবাজদের জেলের বাইরে থাকতে দেব না। ৪ জুনের পর নতুন সরকার হতেই দুর্নীতিবাজদের সারা জীবন জেলে থাকতে হবে। আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”