নতুন টিকা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মনিটর করা হবে দেশে টিকাকরণের প্রভাব।
নতুন টিকা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মনিটর করা হবে দেশে টিকাকরণের প্রভাব। এমনটাই জানালেন ন্যাশনাল টেকনিকাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশনের প্রধান ডঃ এনকে অরোরা। জানা গিয়েছে নতুন এই প্ল্যাটফর্মে টিকাকরণ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হবে আইসিএমআর, কোউইন এবং আরোগ্য সেতু অ্যাপ থেকে। সেই তথ্য খতি দেখে বিভিন্ন বিষয়ে জানা যাবে বলে মত NTAGI প্রধানের। টিকাকরণের প্রভাব, টিকাকরণের পর মৃত্যুর হার সহ বেশ কিছু তথ্য জানা যাবে। NTAGI প্রধান জানান, টিকাকরণের প্রভাব নিয়ে সমীক্ষা চালানো হবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। বয়স, লিঙ্গ, ভ্যাকসিনের ধরন, জনসংখ্যার বিচার সহ বিভিন্ন ফ্যাক্টরকে মাথায় রেখে টিকাকরণের প্রভাব খতিয়ে দেখা হবে। এই সমীক্ষার মাধ্যমে দেখা হবে যে টিকা নেওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা কতটা। বা টিকা নিলে কতটা গুরুতর অসুস্ততার শিকার হতে পারেন কোনও রোগী। দেশএ প্রদান করা সব টিকার ক্ষেত্রেই এই সমীক্ষা চালানো হবে নয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে। NTAGI প্রধানের দাবি, এই সমীক্ষার ফলে টিকাকরণের প্রভাব সম্পর্কে আরও একটি স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। এদিকে এদিন কেন্দ্র জানিয়ে দিল যে তাদের ভ্যাকসিন নীতি সর্বসাধারণের জন্য। কিন্তু এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে ভুয়ো রিপোর্ট প্রকাশ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয় কেন্দ্রের তরফে। ভ্যাকসিন বিতরণ বিষয়ে প্রকাশিত রিপোর্টকে ‘ভুল আর মনগড়া’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, ১ মে থেকে কার্যকর হওয়া নয়া নীতিতে রাজ্যগুলির উপর চাপ অনেকটা কমেছে। উল্লেখ্য, নতুন ভ্যাকসিন নীতি নিয়ে বিভিন্ন রাজ্য ছাড়াও কেন্দ্রের সমালোচনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। চাপের মুখে পড়ে তাই নীতি নিয়ে স্পষ্ট ধারণা দিতে এবং অভিযোগ ওড়াতে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই রিপোর্টকে সমর্থন করে টুইট করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনও। পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন না থাকায় ১৮-৪৪ বয়সিদের ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া বন্ধ রেখেছে বহু রাজ্য। কেন্দ্র ৫০ শতাংশ ভ্যাকসিন যে দামে পাচ্ছে, রাজ্য আর বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে তার চেয়ে বেশি দাম দিয়ে কোভিশিল্ড আর কোভ্যাক্সিন কিনতে হচ্ছে। এমনকি জানুয়ারিতে শুরু হওয়া ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়ার গতিও কমে গিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ২৫ শতাংশ ভ্যাকসিন বেসরকারি ক্ষেত্রের জন্য রয়েছে। যাঁরা বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে দাম দিয়ে ভ্যাকসিন কিনতে পারবেন, তাঁদের সুবিধে হবে। আর সরকারের উপর চাপও কমবে। ২০২১-এর মে মাসে ১.২০ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ পেয়েছে দেশের হাসপাতালগুলি। আর বেসরকারি হাসপাতালগুলি ইতিমধ্যে সেরাম ইনস্টিটিউট আর ভারত বায়োটেকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছে। এই আবহে দেশজুড়়ে ভ্যাকসিনের অভাব নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে তীব্র ভর্ৎসনা করে এই নতুন ভ্যাকসিন নীতিকে ‘স্বৈরাচারী আর অযৌক্তিক’ আখ্যা দেয়।