মস্কোতে ভারত-চিন বিদেশমন্ত্রীদের দীর্ঘ বৈঠক হোল
দুই জনের মধ্যে দীর্ঘ দিনের আলাপ। সেই সুযোগে কী লাদাখ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এ পারবেন এস জয়শংকর ও ওয়াং য়ি? মস্কোতে ভারত-চিনের বিদেশমন্ত্রীদের মধ্যে দুই ঘণ্টা কুড়ি মিনিটের বৈঠকের শেষে এখন সেই প্রশ্নই সবার মুখে।
আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনও দুই দেশের তরফে বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে সেই নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। কিন্তু বৈঠকে যে মূলত সীমান্ত সমস্যা নিয়ে কথা হবে তা শুরু হওয়ার আগেই জানিয়েছিলে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব। এদিন ভারত ও চিনের বিদেশমন্ত্রীদের আগেও দুইবার দেখা হয়েছিল। একবার সমগ্র দেশের বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে। এরপর দ্বিতীয় বৈঠকে জয়শংকর-ওয়াং ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী। সেখানে তিন দেশের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। এরপর ওয়াং য়ি ও পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর কুরেশির বৈঠক হয়, যার পরে ইসলামাবাদ ফের ভারতকে দোষ দেয় অঞ্চলে অস্থিরতার জন্য।
ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত, এটা আশা করা যায় ওয়াং য়ি ও জয়শংকর, দুজনেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছেন ও কোনও সমাধানসূত্রে খুঁজে বার করার চেষ্টা করেছেন। ভারতের বক্তব্য খুব স্পষ্ট- পূর্ব লাদাখে এপ্রিলে যেই পক্ষের সেনা যেখানে ছিল, সেখানে ফিরে যাও। অন্যদিকে চিনের কথা হল সীমান্ত নিয়ে আলোচনা চলুক, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যেন তাতে প্রভাবিত না হয়। কিন্তু ভারত সাফ করে দিয়েছে যে এই দুই একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রতভাবে জড়িত।
অন্যদিকে মুখে শান্তির কথা বললেও সীমান্তে খালি লোকবল ও অস্ত্রশস্ত্র বাড়াচ্ছে চিন। সামঞ্জস্য বজায় রাখার জন্য একই পথে যাচ্ছে ভারত। কিন্তু এর ফলে ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে সীমান্ত। প্যাংগংয়ের দক্ষিণ প্রান্তে অনেক গুরুত্বপূর্ণ চুড়োর দখলও এখন ভারতের হাতে। ফলে খেলা অনেকটাই ঘুরেছে। সেই রকম পরিস্থিতিতে বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে শান্তির কোনও রোডম্যাপ আদৌ এল কিনা, সেটাই এখন দেখার।