শুক্রবার ডায়মন্ড হারবার এসডিও মাঠে এমপি কাপের উদ্বোধন ঘিরে ছিল জমজমাট আয়োজন।
হুগলি নদীর তীরে বড় ঘোষণা। এমপি কাপের ফাইনাল হবে আরও আকর্ষণীয়। আগামী ১ তারিখ ফাইনালে মুখোমুখি হবে অ্যালভিটো ডি কুনহা এবং বাইচুং ভুটিয়া। যে দুটি দল ফাইনাল ম্যাচ খেলবে। তাদের টিমের প্রতিনিধিত্ব করবেন জাতীয় দলের দুই প্রাক্তন তারকা। সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায় অবশ্য বলছেন, ফাইনাল হবে মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে। শুক্রবার ডায়মন্ড হারবার এসডিও মাঠে এমপি কাপের উদ্বোধন ঘিরে ছিল জমজমাট আয়োজন। হাজির ছিলেন রাজ্য মন্ত্রীসভার একাধিক সদস্য।
সেখানেই অবশ্য মাঠের লড়াই আর রাজনীতির লড়াই যে আলাদা তা মনে করিয়ে দিয়েছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। এদিন তিনি জানিয়েছেন, “সবাই দুপুর বেলা থেকে জমায়েত হয়ে আছেন এখানে। এখন সন্ধ্যা ৬’টা সবাই এখনও আছেন। রাজনৈতিক মঞ্চ নয় এটা৷ রাজনৈতিক পরিচয়ের উপরে উঠে ফুটবলকে ভালোবেসে আসুন। ২০১৭ সালে আমি এমপি কাপ শুরু করি৷ ২০২০ করোনার জন্য এক বছর বন্ধ রাখতে হয়েছিল। করোনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে। জীবন আমাদের আবার সহজ হয়েছে৷ ২১ দিন ধরে খেলা হবে। কেউ জিতবে, কেউ হারবে। যে হারবে সে পরের বছর আবার সুযোগ পাবে। মাঠের লড়াই মাঠে থাকুক৷ স্পোর্টস ম্যান স্পিরিট যেন থাকে৷ মাঠের বাইরে এমন কিছু করবেন না যাতে সমাজে ভুল বার্তা যায়। আজকের উদ্বোধনী ম্যাচে একদিকে বাবুল সুপ্রিয় অন্যদিকে খেলছেন মনোজ তিওয়ারি। সুষ্ঠ ভাবে পরিবেশ বজায় রেখে ফুটবলের আনন্দ নিন। মাঠের বাইরে হারা-জেতা নিয়ে যেন কোনও দ্বন্দ্ব না হয়। ১ তারিখ ফাইনাল খেলা হবে মহেশতলার মাঠে। ফাইনালে অ্যালভিটো ডি কুনহা বনাম বাইচুং ভুটিয়া হবে। এটা আমাদের আরও শিখরে যেতে হবে। রাজনীতি রাজনীতির ময়দানে থাকবে। রাজনীতির ময়দানে লড়ে নেব৷ আগামী ২০ দিন ডায়মন্ড হারবারে কোনও রাজনীতি হবে না। রাজনীতির উপরে উঠে সবাই আসুন।আগামী দিনে খেলা হবে।”
তবে রাজনীতির প্রসঙ্গ উঠে এসেছে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের গলায়। এদিন তিনি জানিয়েছেন, “এমপি কাপ প্রতিযোগিতা শুরু করেছেন। গোটা দেশ দিয়ে। ত্রিপুরায় খেলা হয়েছে৷ আগামী দিনেও হবে। খেলা হবে গোয়া, মেঘালয়ে। গোটা দেশ জুড়ে খেলছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।”
এদিন অবশ্য খোশ মেজাজে ছিলেন উদ্বোধনী ম্যাচের দুই ক্যাপ্টেন বাবুল সুপ্রিয় ও মনোজ তিওয়ারি। ডায়মন্ড হারবার টিমের অধিনায়ক বাবুল অবশ্য বলছেন, ” আমার ড্রেস নিয়ে কয়েকদিন আগে আমাকে যারা বলতেন, আজ সেই পোষাক পরেই মঞ্চে এসেছি। খেলা হবের মঞ্চ এটা৷ আমি পিওর মোহনবাগানী। আমি গোল করার চেষ্টা করব। নতুন ফ্যামিলিতে এসেছি। আগে দলে ছিলাম। এখন মানুষের সাথে এসেছি।” আর ফলতা টিমের অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি জানিয়েছেন, “ফুটবল আমার প্রথম প্রেম। পরে ক্রিকেটে চলে যাই। যে ভাবে বিজেপিকে হারিয়েছি। খেলার মাঠ থেকে রাজনীতির মাঠে এসেছি। বিজেপিকে এই মঞ্চ থেকে বলছি, মেরেছি ছক্কা, উড়েছে ধূলো। এসেছে আবার জোড়া ফুল।”রাজনীতির আলোচনা দূরে সরিয়ে রাখার কথা বলা হলেও, খেলার মাঠের স্লোগান ছিল, “খেলা হবে”।