মুখের অভাব বঙ্গ–বিজেপিতে? চার সাংসদকেই টিকিট বিজেপির
প্রথম দু’দফার প্রার্থী তালিকায় সাংগঠনিক নেতাদের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। আর রবিবার দুপুরে বাংলার তৃতীয় ও চতুর্থ দফা ভোটের জন্য ৬৩ আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং। আর তাতেই দেখা গেল, বাবুল সুপ্রিয়, স্বপন দাশগুপ্ত, লকেট চট্টোপাধ্যায়দের মতো সাংসদদের প্রার্থী করল দল। সুতরাং দল ভাঙিয়ে যাদের নেওয়া হল তাদের সুযোগ দেওয়া হল না। ইতিমধ্যে রন্তিদেব সেনগুপ্ত প্রার্থী হতে নারাজ বলে জানিয়েছিলেন। শোভন–বৈশাখী বিজেপি ছাড়তে চলেছেন। এই পরিস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরে ডামাডোল শুরু হয়ে গিয়েছে।
আবার বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন চার সাংসদ। সঙ্গে টিকিট পেলেন টলি তারকা যশ দাশগুপ্ত, পায়েল সরকার, তনুশ্রী চক্রবর্তী। সাংসদদের টিকিট দিয়ে বিধায়ক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করানো আসলে সম্ভাবনাময় মুখের অভাবকেই কারণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। এতজন সাংসদকে কেন প্রার্থী করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে সাংসদদেরই প্রার্থী করে বঙ্গ জয়ের প্রচেষ্টায় বিজেপি।
বাবুল সুপ্রিয় ছাড়া একুশের নির্বাচনে লড়তে লকেট চট্টোপাধ্যায়, স্বপন দাশগুপ্ত এবং নিশীথ প্রামাণিক। দেখা যাচ্ছে, বিজেপি তারকার বিরুদ্ধে তারকাদেরই লড়িয়ে দিতে চাইছে। তাই চণ্ডীতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী অভিনেতা সোহমের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ময়দানে দেখা যাবে যশ দাশগুপ্তকে। অভিনেত্রী পায়েল সরকার বিজেপির বেহালা পূর্ব বিধানসভার প্রার্থী এবং তনুশ্রী চক্রবর্তী লড়বেন হাওড়া শ্যামপুকুর কেন্দ্র থেকে। কিন্তু কেন একঝাঁক সাংসদকে প্রার্থী করা হল? বিজেপি সূত্রে খবর, ঝড়ের গতিতে বক্তৃতা ও এলাকায় জনপ্রিয়তার দিকে খেয়াল রেখেই একাধিক আসনে দাঁড় করানো হয়েছে সাংসদদের। তবে জানা গিয়েছে, সামনের বছরই রাজ্যসভায় মেয়াদ শেষ হচ্ছে স্বপন দাশগুপ্তের। তাই তার আগেই বাংলার লড়াইয়ের জন্য তাঁকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হল।
এই প্রার্থী তালিকা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিক্রিয়া, বিজেপি দাবি করে তাঁদের নেতার অভাব নেই। তাই যদি হবে তাহলে পাশ করা ছাত্রদের ফের পরীক্ষায় বসানোর প্রয়োজন কী? স্বপন দাশগুপ্তের অবশ্য সাফাই, ‘তৃণমূল কংগ্রেসকে হারানোই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। বাংলার পরিবেশ পরিবর্তন করতে হবে। তার জন্য সাংসদ কেন, সমস্ত স্তরের মানুষদেরই যোগদান প্রয়োজন।’