নবান্ন অভিযানের দিন কার্যত দুর্গ করে ফেলা হচ্ছে নবান্ন ও সংলগ্ন এলাকা।
নবান্ন অভিযানের দিন কার্যত দুর্গ করে ফেলা হচ্ছে নবান্ন ও সংলগ্ন এলাকা। পুলিশ সূত্রে তেমন খবরই পাওয়া যাচ্ছে। রাজ্যের সচিবালয় নবান্ন। মন্ত্রী, আমলা তো বটেই, এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর দফতর এই নবান্নে। ভিভিআইপি জ়োন। স্বভাবতই নিরাপত্তার বেষ্টনী এখানে সুদৃঢ়। এরইমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ডাক দেওয়া হয়েছে নবান্ন অভিযানের।
মঙ্গলবার ২৭ অগস্ট এই নবান্ন অভিযান ঘিরে যাতে আইনশৃঙ্খলা কোনওভাবে বিপন্ন না হয়, সেদিক নজরে রেখে বিরাট ফোর্স নামছে রাস্তায়। সেদিন ২১ জন আইজি এবং ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসার থাকছেন বলে খবর। থাকছেন ১৩ জন এসপি বা ডিসি পদমর্যাদার অফিসার। ১৫ জন এডিসিপি বা এসিপি পদমর্যাদার অফিসার। সঙ্গে ২২ জন এসি বা ডেপুটি এসপি পদমর্যাদার আধিকারিক। ২৬ জন ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার অফিসার সহ ২ হাজারের বেশি পুলিশ। লক্ষ্য একটাই, জমায়েত ঘিরে যেন কোনওভাবে বিশৃঙ্খলা তৈরি না হয়।
শুক্রবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে প্রথমবার জানা যায় কারা এই নবান্ন অভিযানের আহ্বায়ক। তিন যুবক এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করেন। তাঁরা রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্য়ালয়ে মাস্টার ডিগ্রির ছাত্র প্রবীর দাস, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএড পড়ুয়া শুভঙ্কর হালদার ও ম্য়াকাউট-এর এমবিএ পড়ুয়া সায়ন লাহিড়ী।
তাঁদের বক্তব্য, ২৭ তারিখ তাঁরা নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন। তাঁরাই ‘ছাত্র সমাজ’। নির্যাতিতার পরিবার যাতে সুবিচার পায় এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতেই এই অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। ছাত্র সমাজের ব্যানারে এই নবান্ন অভিযানের ডাক হলেও তাঁরা চান, সমাজের সকল স্তরের মানুষ পথে নামুন।