নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি সুপ্রিম ও হাইকোর্টে
‘নন্দীগ্রামে ভোট গণনায় কারচুপি হয়েছে’ এই অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও করেছিলেন। নিশানায় ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রথমে হাইকোর্টে মামলাটি ওঠে বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে। কিন্তু ওই বেঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তি থাকায় পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা করে মামলা থেকে অব্যাহতি নেন বিচারপতি চন্দ। পরে জুলাই মাসে বিচারপতি শম্পা সরকারের বেঞ্চে মামলাটি যায়। তখন অবশ্য বেঁকে বসেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, বেঞ্চবদল হওয়ায় সুবিচার পাবেন না তিনি। তখন হাইকোর্টের উপর অনাস্থা জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা। সেই মতো সোমবার হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে উঠছে নন্দীগ্রাম মামলাটি।
শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষে প্রবীণ আইনজীবী মনিন্দর সিং লড়াই করছেন নন্দীগ্রাম মামলাটিতে। তিনি মামলাটি পশ্চিমবঙ্গের বাইরে স্থানান্তরিত করার আর্জি জানিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রমন্না, বিচারপতি এ এস বোপন্না এবং বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চে। ১৫ নভেম্বর মামলাটি শুনানির জন্য প্রাথমিক তালিকায় সূচিবদ্ধ হয়েছে। যার ফলে সোমবার সুপ্রিম ও হাইকোর্টে একসঙ্গেই হতে পারে নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বনাম বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আইনজীবীদের একাংশের মতে, শীর্ষ আদালতে মামলার শুনানি হলে পিছিয়ে যেতে পারে হাইকোর্টের শুনানি। আবার অনেকের মতে, যেহেতু মামলাটি শীর্ষ আদালতে উঠছে, সেক্ষেত্রে হাইকোর্টে শুনানি না-ও হতে পারে। তবে এই মামলার ভবিষ্যৎ কী? তা সোমবারই জানা যাবে।