আগামী সাত বছরের মধ্যে ন্যানোরোবটের সাহায্যে অমরত্ব অর্জন করবে মানুষ।
আগামী সাত বছরের মধ্যে ন্যানোরোবটের সাহায্যে অমরত্ব অর্জন করবে মানুষ। অর্থাৎ ‘জন্মিলে মরিতে হবে’ এই ব্যাখ্যা আর খাটবে না। ২০৩০ সালের মধ্যে যুগান্তকারী সেই দিকেই এগোতে চলেছে মানব সভ্যতা! এই ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন প্রাক্তন গুগল ইঞ্জিনিয়ার তথা বিশিষ্ট প্রযুক্তিবিজ্ঞানী রে কার্জউইল।
৭৫ বছর বয়সী এই কম্পিউটার বিজ্ঞানী ১৯৯৯ সালে ‘ন্যাশনাল মেডেল অফ টেকনোলজি’ পুরস্কার পেয়েছিলেন এবং ২০২২ ‘হল অফ ফেমে’ অন্তর্ভুক্ত হন। তার মন্তব্য কারিগরি ভ্লগার অ্যাডাজিওর ইউটিউব সিরিজে শুনতে পাবেন । ভিডিওগুলি ইতিমধ্যেই হাজার হাজার ভিউ সংগ্রহ করেছে। কার্জউইল তার ২০০৫ সালের বই ‘দ্য সিঙ্গুলারিটি ইজ নিয়ার’-এ মানুষের অমরত্বের দাবি করেছিলেন । বলেছিলেন ২০৩০ সাল নাগাদ মানুষ অমর হয়ে যাবে। কঠিন ব্যধিও মারতে পারবে না মানুষকে। জেনেটিক্স, রোবোটিক্স এবং ন্যানোটেকনোলজি থেকে ন্যানোবটের জন্ম হবে।
এগুলি মানবদেহের ক্ষতিগ্রস্ত কোষকে মেরামত করতে সক্ষম হবে। এর ফলেই মারণ ব্যধি থেকে মুক্তি পাবে মানুষ। তার বুড়ো হওয়া আচমকা থমকে যাবে। নিউ ইয়র্ক পোস্টের মতে, প্রাক্তন গুগল ইঞ্জিনিয়ার আগেও বলেছিলেন যে “২০২৯ হলো সেই সাল যখন আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) মানবিক স্তরের বুদ্ধিমত্তা অর্জন করবে।” ইতিমধ্যেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানব মস্তিষ্কের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে। সেইসঙ্গে কার্জউইল ভবিষ্যদ্বাণী করেন ২০৪৫ নাগাদ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাথে একত্রিত হয়ে মানুষের কার্যকর বুদ্ধিমত্তা বিলিয়ন গুণ বেড়ে যাবে। কার্জউইলের মতে, এক দশকেরও কম সময়ের মধ্যে মানুষ মাইক্রোস্কোপিক রোবট দিয়ে বার্ধক্য এবং অসুস্থতা প্রতিরোধ করার প্রযুক্তি তৈরি করবে। আমাদের দেহকে সেলুলার স্তরে মেরামত করার জন্য এই প্রযুক্তি কাজে লাগানো হবে। তিনি আরও দাবি করেছেন যে, এই জাতীয় ন্যানো প্রযুক্তি মারফত মানুষ নিজের ইচ্ছেমতো যা কিছু খেলেও মোটা হবে না কখনো। পোস্ট অনুসারে, কুর্জওয়েলের ভবিষ্যদ্বাণীগুলি কারও কারও কাছে অবাস্তব মনে হলেও তার আগের অনেক দাবি সত্য হয়েছে। তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, ১৯৯৯ সালের মধ্যে গ্রাহকরা তাদের বাসার কম্পিউটার থেকে সুনির্দিষ্ট পরিমাপ এবং শৈলী ব্যবহার করে তাদের নিজস্ব পোশাক ডিজাইন করতে সক্ষম হবে। বিশ্বের সেরা দাবা খেলোয়াড়ও ২০০০ সালের মধ্যে কম্পিউটারের কাছে পরাজিত হবে বলেও ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন এই বিজ্ঞানী । ১৯৯৭ সালে তার কথা সত্য বলে প্রমাণিত হয়। গ্যারি কাসপারভকে পরাজিত করে ডিপ ব্লু নামের কম্পিউটার।