এনসিবির তল্লাশি অভিযানের এক সাক্ষী রীতিমতো বোমা ফাটালেন।
আরিয়ান কাণ্ডে একের পর এক অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ চলছেই। এর মধ্যেই এনসিবির তল্লাশি অভিযানের এক সাক্ষী রীতিমতো বোমা ফাটালেন। জানালেন, এই ঘটনার অন্যতম সাক্ষী কিরণ গোসাভির শাহরুখের থেকে ২৫ কোটি হাতানোর ছক ছিল। শেষে তা ১৮ কোটিতে রফা হয়েছিল। এই থেকে আবার আট কোটি দেওয়ার কথা ছিল অভিযানের নেতৃত্বে থাকা সমীর ওয়াংখেড়েকে।
এই দাবি করেছেন সাক্ষী প্রভাকর সেইল। নিজেকে গোসাভির দেহরক্ষী বলে পরিচয় দেন তিনি। এও দাবি তুলেছেন, প্রমোদতরীতে তল্লাশি অভিযানে গোসাভির সঙ্গেই তিনিও ছিলেন সাক্ষী। এখন তাঁর জীবন সংশয় তৈরি হয়েছে। টাকা নিয়ে ঠিক কী অভিযোগ করেছেন এই সেইল?
সেইলের দাবি, গোসাভি আরিয়ানের মুক্তির বদলে শাহরুখের ম্যানেজার পূজা দাদলানির থেকে ২৫ কোটি টাকা আদায়ের ছক কষেছিলেন। শেষে তা ১৮ কোটি টাকায় রফা হয়। তা থেকে ৮ কোটি টাকা এনসিবি–র জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়েকে দেওয়ার কথা হয়। সেইল আরও অভিযোগ করেছেন, আরিয়ান সহ অন্যান্যদের গ্রেপ্তারির পর ৩ অক্টোবর ভোরবেলা একটি সাদা কাগজে তাঁকে সই করতে বাধ্য করেন ওয়াংখেড়ে সহ এনসিবি–র অন্য অফিসাররা।
না জেনেই সাদা কাগজে সই কেন করলেন? প্রভাকরকে জিজ্ঞেস করা হলে বলেন, ‘আমার কোনও ধারণাই ছিল না যে আমায় সাক্ষী হিসাবে ডাকা হয়েছে। আমায় কাগজে সই করতে ডাকার পরই আমি এনসিবির অফিসের ভিতরে গিয়েছিলাম। আমি সই করতে অস্বীকার করায় সমীর ওয়াংখেড়ে আমায় আশ্বস্ত করে বলেন যে সই করতে, কিছু হবে না। কিরণ গোসাভিও আমায় সই করতে বললেন। এতজন অফিসার উপস্থিত ছিলেন, আমি কীভাবে তর্ক করতাম?’
সেইলের বক্তব্য, এনসিবির আধিকারিকরা তাঁকে দিয়ে মোট ৯টি সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়েছেন এবং আধার কার্ডের জেরক্সও জমা নিয়েছেন। ওই কাগজে সই করার পর তিনি আরিয়ান খানকে দেখতে পান। প্রভাকর বলেন, ‘বাকি অভিযুক্তদের থেকে আলাদা একটি ঘরে আরিয়ান খানকে রাখা হয়েছিল। আমার কাছে একটা ভিডিও আছে, যেখানে কিরণ গোসাভিকে আরিয়ানের পাশে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে।’
এখানেই থামেননি সেইল। তাঁর আরও অভিযোগ, একটি গাড়ির মধ্যে পুজা দাদলানি, স্যাম ডি’সুজা নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে টাকা নিয়ে চুক্তি করছিলেন গোসাভি। তাঁর কথায়, ‘আমি পূজাকে চিনি। কারণ তিনি খুব বিখ্যাত। তাঁকে দেখার পর গুগলও করে নিয়েছি।’
প্রমোদতরীতে এনসিবির তল্লাশি অভিযানের পর দিনই তাঁকে মুম্বইয়ের মহালক্ষ্মী এলাকা থেকে ৫০ লক্ষ টাকা আনতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি প্রভাকরের। তিনি জানান, সেখানে পৌঁছতেই দুই ব্যক্তি তাঁকে একটি ব্যাগ দেন। গোসাভি ও তাঁর স্ত্রী ওই ব্যাগ নিয়েই অন্য কোথাও চলে যান। প্রভাকরের দাবি, গোসাভি এখনও তাঁকে বেতন দেননি। ছেলে–মেয়ের স্কুলের খরচের জন্য একটি চেক দিয়েছিলেন, কিন্তু ব্যাঙ্কে জমা দিলে তা বাউন্স করে যায়।